মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট: ১৭:১৯, ২৫ জুন ২০২৪
৪ দিনে মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে গেল ৭ জনের প্রাণ

মৌলভীবাজারে তিন দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃ*ত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যার দাগ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি মৌলভীবাজারের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। পানি কমে আসলেও কমছে না বন্যার্দের দুর্ভোগ আর এতোসব দুর্ভোগের মাঝে ৪ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৭ জনের মৃ*ত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমাঝে বেশিরভাগই শিশু-কিশোর।
সবশেষ গতকাল সোমবার (২৪ জুন) একদিনে মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ২ শিশুর ম*রদেহ উদ্ধার করা হয়। ৪ দিনে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ৫ জনই আবার সদর উপজেলার।
গত ৪ দিনে মৌলভীবাজার জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে নি*হত ৭ জন হলেন, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামের পচন মিয়ার ছেলে ছাদি মিয়া (৮), একই গ্রামের জমির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (১৭), পাহাড় বর্ষিজোড়া গ্রামের লিমন সেখ (১২) ও খলিলপুর ইউনিয়নের আজিজুল ইসলাম (৬), কনকপুর ইউনিয়নের বুদ্ধিমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবলু মিয়ার ছেলে সোহান আহমদ (০৭), বড়লেখা উপজেলার ভাগাডহর গ্রামের আয়শা বেগম (১২) ও কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মুক্তাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাছির মিয়ার ছেলে আবু সাইদ আহমদ রেদোয়ান (৬)।
জানা যায়, গত ২০ জুন সদর উপজেলার শ্যামেরকোনা গ্রামের ছাদি মিয়া (৮) ও তাঁর সাথের একজন রাস্তায় হাঁটছিল। আচমকা ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে তারা পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করতে হৃদয় মিয়া (১৭) নামের আরেক কিশোর পানিতে নামলে সেও পানিতে ডুবে মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে অপর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় নি*হত হৃদয়। পরবর্তীতে তাদের ম*রদেহ উদ্ধার করা হয়।
একইদিন বড়লেখা উপজেলার ভাগাডহর গ্রামের আয়শা বেগম (১২) বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে গেলে তীব্র স্রোতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে।
গত ২২ জুন সদর উপজেলার পাহাড় বর্ষিজোড়া গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রিমন মিয়া (১১) মনু ব্যারেজ সংলগ্ন সুইচ গেইট এলাকায় গোসল করতে পানিতে নামে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় একসময় সে পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরি ইউনিট সিলেট থেকে এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় তারা ফিরে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার কনকপুর এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার খলিল পুর ইউনিয়নের লামুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম (৬) বরাক নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার বিকেলে কুলাউড়ার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মুক্তাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাছির মিয়ার শিশুপুত্র আবু সাইদ আহমদ রেদোয়ান বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়।
সোমবার (২৪ জুন) বুদ্ধিমন্তপুর ঈদগাহ সংলগ্ন পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় শিশু সোহান আহমদ (০৭)।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ফায়ার স্টেশনের উপ-সহপরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে, তবে এ সকল দুর্ঘটনার অধিকাংশই ঘটছে পরিবারের অবহেলা বা অসচেতনতার কারণে। পরিবারের সদস্যরা যদি ছোট বাচ্চাদের খেয়াল রাখেন এবং সাঁতার শেখান তাহলে পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, নিহতের পরিবারদের মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে এবং সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন জনসচেতনতা তৈরিতে প্রশাসন কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, শিশুদের খেয়াল রাখার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে এবং পরবর্তীতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - দুলাভাইয়ের ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা
- মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজারের রাজনগরে
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিধবা রুবির বিউটি পার্লার