Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২ জুলাই ২০২৪
আপডেট: ১৯:০৪, ২ জুলাই ২০২৪

মনু নদে বিপদসীমার ২৬ সে.মি উপর দিয়ে বইছে পানি 

মনু নদে ১১ দশমিক ৫৬ সে.মি উচ্চতায় পানি বইছে। ছবি- আই নিউজ

মনু নদে ১১ দশমিক ৫৬ সে.মি উচ্চতায় পানি বইছে। ছবি- আই নিউজ

মৌলভীবাজার সদরে মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬ সে.মি উপর দিয়ে বইছে পানি। এতে নদী পাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকায়। মনু নদ ছাড়া পানি বাড়ছে ধলাই, জুড়ী, কুশিয়ারা নদীতেও। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় দফায় আবারও কিছু উপজেলায় বন্যার আশ/ঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) মৌলভীবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর পানির এই তথ্য জানায়। সবশেষ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মনু নদীর পানি পরিমাপ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে দেখা যায় মনু নদে বিপদসীমার ২৬ সে.মি উপর দিয়ে পানি বইছে। বর্তমানে মনু নদে ১১ দশমিক ৫৬ সে.মি উচ্চতায় পানি বইছে। যেখানে বিপদসীমা হচ্ছে ১১ দশমিক ৩০ সে.মি উচ্চতা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, মৌলভীবাজারের মনু নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে দুপুর পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ৭ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে সন্ধায় রেকর্ড করা তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে, পানি বৃদ্ধি পেয়েছে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে। শেরপুরে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ১৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদীর ভবানীপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৭৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, সরেজমিনে মনু নদ সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি বৃদ্ধির ফলে মনুর আশপাশের নিম্নাঞ্চলে উপচে পড়া পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে এসব এলাকার সাধারণ মানুষের। শেরপুরের আশেপাশে দুইটি গ্রামে নদীর বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। 

এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আবারও সিলেটে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরিমধ্যে সুনামগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুরসহ সিলেটের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আই নিউজ/এইচএ  

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়