Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:২২, ১৮ জুন ২০২২

বন্যায় বন্ধ সিলেট রেলস্টেশনও

সংগৃহীত

সংগৃহীত

সিলেটে চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট রেলস্টেশন বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছে স্টেশন সূত্র। অপরদিকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুপুর ১২টার দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব কটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এতে দুই জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন সিলেট-সুনামগঞ্জবাসী।

উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে সিলেটসহ হাওরাঞ্চল। কিছুদিন আগেই ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত এ অঞ্চল আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও থইথই পানিতে পুরো জনপদ। পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষকে উদ্ধারে প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও।

পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী বৃষ্টি হতে পারে আরও তিন দিন। সিলেট-সুনামগঞ্জের পাশপাশি বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে মধ্যাঞ্চলেও।

কানাইঘাটসহ সিলেটের সীমান্তবর্তী চার উপজেলা থইথই পানিতে তলিয়ে গেছে। উজানের ঢলের সঙ্গে যোগ হওয়া অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতে গ্রামের পর গ্রাম ভাসছে। আরও বৃষ্টি হলে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়তে পারে হবিগঞ্জের নিচু এলাকাগুলোতেও। আজমিরীগঞ্জ, লাখাইসহ আরও কিছু নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পানির তীব্র স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় আশ্রয়ের খোঁজে শেষ সম্বল হাতে নিয়ে নিজ ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বানভাসিরা।

এদিকে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকাসহ ১২ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুদিন থেকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন সুনামগঞ্জবাসী। এদিকে জেলার সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়ায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সদরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার ভয়ংকর ‍রূপ, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি

এ ছাড়া তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরের নদ-নদীর পানি বাড়ায় লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

সীমান্তের ওপারে ভারি বর্ষণের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘটসহ ১৬ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে রৌমারী ও রাজিবপুর ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার আরও তিনটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। জেলার ৫০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় মাচা বা নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।

আইনিউজ/এইচএ

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ