Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

আই নিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২ জুলাই ২০২৪
আপডেট: ২০:১০, ২ জুলাই ২০২৪

মৌলভীবাজারে বাঁধ ভেঙেছে কুশিয়ারা, লোকালয়ে মনুর পানি 

পানির তোড়ে হামরকোনা গ্রামে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। ছবি- আই নিউজ

পানির তোড়ে হামরকোনা গ্রামে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। ছবি- আই নিউজ

সোমবার রাত থেকে মৌলভীবাজারে প্রবল বেগে বাড়ছে পানি। মৌলভীবাজারের প্রায় সবকয়টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে আসা পানি। এর ফলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনায় কুশিয়ারার পানি উপচে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে জনপদে প্রবেশ করেছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা গ্রামে পানির তোড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। এখানে কুশিয়ারার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ না থাকায় গ্রামীণ সড়কটিই প্রতিরক্ষা বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বাঁধ ভাঙার ফলে গ্রামের অনেক মানুষ হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ১৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬ সে.মি উপর দিয়ে বইছে পানি। জুড়ী নদীর ভবানীপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৭৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের মনু নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ৭ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে সন্ধায় রেকর্ড করা তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খলিলপুর ইউনিয়নের যেদিকে বাঁধ ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে, সে এলাকায় পাউবোর কোনো বাঁধ নেই। একসময় প্রতিরক্ষা বাঁধ হলেও এটি এখন মূলত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি গ্রামীণ সড়ক। কুশিয়ারা নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠলে বাঁধটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে এলাকায় পানি ঢোকে।

পাউবো মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘কুশিয়ারার পানি বাড়াটা ভয়ের। কুশিয়ারায় পানি বাড়লে মনুর পানি কমবে না। কুশিয়ারা নদীর খলিলপুর এলাকায় পাউবোর স্থায়ী কোনো বেড়িবাঁধ নেই। হামরকোনায় এলজিইডির রাস্তা ভেঙে খলিলপুর ইউনিয়নে পানি ঢুকছে। ভাঙা মেরামতের জন্য বালুভর্তি এক হাজার সিন্থেটিকের বস্তা পাঠিয়েছি।’

নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় দফায় আবারও কিছু উপজেলায় বন্যার আশ/ঙ্কা করা হচ্ছে। এরিমধ্যে সুনামগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুরসহ সিলেটের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আই নিউজ/এইচএ 
 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়