Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২২ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৭ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:২১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

কন্যা জন্ম দেয়ায় স্বামীর নির্যাতন, সইতে না পেরে মরে গেলেন শিপা

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

দাম্পত্যজীবনে শিপা বেগমের (২৯) প্রথম মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়ার খুশি হন শিপার স্বামী সুমন মিয়া। ছেলে সন্তানের আশায় পরপর আরও তিন সন্তানের জন্ম দেন সুমন-শিপা। কিন্তু পরবর্তী তিন সন্তানও মেয়ে হওয়ায় স্ত্রী শিপার ওপর রীতিমত চড়াও হয়ে যান স্বামী সুমন। বাড়ে শারিরীক, মানসিক নির্যাতনও। অপমান আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ নিজেকে শেষ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন ওই চার সন্তানের মা শিপা।

নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে শুক্রবার( ১৬ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর আগে জগন্নাথপুর পৌরসভার ইকড়ছই এলাকার মৃত মকদ্দুছ মিয়ার মেয়ে সঙ্গে বড়কাপন গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দাম্পত্যজীবন সুখের ছিল। বিয়ের প্রথম বছরেই তাদের প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

তারা জানান, বেশ ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলে দ্বিতীয় কন্যা সন্তান জন্মের পর। তারপর একটি ছেলের আশায় পরপর আরো দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। একে একে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্বামী সুমন মিয়া। প্রায়শই তিনি স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করতেন।

এরপরও স্বামীর সংসারে সুখে থাকার জন্য বছরখানেক আগে শিপা বেগমের মা মনু বেগম তার সৌদি প্রবাসী মেয়ের কাছ থেকে মেয়ের জামাই সুমন মিয়াকে ২ লাখ টাকা ধার দেন। এতে করে শিপা বেগমের সংসারে সুখের চেয়ে আরো দুঃখের ছায়া নেমে আসে।

মাসখানেক আগে ধার দেওয়া ওই টাকা সুমন মিয়ার কাছে ফেরত চাওয়া হলে, শিপা বেগমের ওপর শুরু হয় স্বামীর অমানবিক নির্যাতন। আর সেই নির্যাতন সইতে না পেরে আজ শুক্রবার বিকেলে বিষ পান করেন ৪ সন্তানের ওই জননী। পরে পরিবারের লোকজন শিপা বেগমকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিপা বেগমের মা মনু বেগম বলেন, 'কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া ছিল আমার মেয়ের অপরাধ। ছেলে সন্তান জন্ম হয় না বলে প্রায়ই আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করত ওর স্বামী। মেয়ের সুখের জন্য জামাইকে ব্যবসার জন্য ২ লাখ টাকা ধার দেই। আর সেই টাকা চাওয়াতে আমার মেয়েকে নির্যাতন করতে শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ওর মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী। আমি তাদের বিচার চাই।'

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, 'শিপা বেগমের মরদেহ সিলেট হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-


দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের দেশ ।। Most beautiful woman in the world ।। Eye News

যে গ্রামে পুরুষ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন নারীরা | Women are pregnant without men | Kenyan Girls | Eye News

চুল বেঁধে ঘুমিয়ে নিজের যে ক্ষতি করছেন ।। Hair loss problems

পায়খানা ও প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখলে যে ক্ষতি হয়??

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ