Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৭ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যে সেতু হলে সুনামগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমবে ৬৫ কিলোমিটার

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সিলেটের সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক রাণীগঞ্জ সেতু চালুর পথ সুনামগঞ্জের সাথে ঢাকার দূরত্ব কমে গেছে অনেক কম। আগের তুলনায় এখন এক দেড় ঘণ্টা কম সময়ে ঢাকা যেতে পারেন যাত্রীরা। তবে সুনামগঞ্জ-ঢাকার আরেকটি বিকল্প সড়ক হতে চলেছে নির্মিতব্য কাঠইর-দিরাই-শাল্লা-আজমিরীগঞ্জ সড়কটি।

শাল্লা-আজমিরীগঞ্জ-লাখাই হয়ে সরাইলে গিয়ে মহাসড়কের সঙ্গে মিলবে এই সড়ক। যাতে করে এই সড়ক দিয়েও ঢাকায় আগের চেয়ে কম সময়ে যাতায়াত করার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। 

জানা গেছে, প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কের কাজ ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। এরিমধ্যে শাল্লা থেকে আজমিরীগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের কাজ ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজও প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বলা হচ্ছে, এই সড়ক চালু হলে সুনামগঞ্জ-ঢাকার দূরত্ব কমবে ৬৫ কিলোমিটার। ঢাকার সঙ্গে এই সড়ক দিয়েও সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমে যাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। 

শাল্লা-আজমিরীগঞ্জের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ অংশের ১০ এবং হবিগঞ্জের ৬ কিলোমিটার। মাঝখানে গ্রাম শাল্লার কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু। সেতুর হবিগঞ্জ অংশে রয়েছে ফিরোজপুর গ্রাম। সেতুসহ এই অংশে ব্যয় হচ্ছে ৭৬৯ কোটি টাকা। এরই মধ্যে গ্রাম শাল্লা-ফিরোজপুর সেতুর কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে।

সেতুর নামকরণ হতে পারে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন এমপির নামে 
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের শাল্লার সদস্য সচিব পিসি দাস পীযূষ জানিয়েছেন, প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জীবদ্দশায় এই সড়কের ফাইলওয়ার্ক করে গেছেন। তাই এই সড়কের সবচেয়ে বড় স্থাপনা, কুশিয়ারার ওপর নির্মিত সেতুর নাম তাঁর নামে করার দাবি জানানো হয়েছে।

শাল্লা-আজমিরীগঞ্জ সড়কে তিনটি ছোট সেতু ও আটটি কালভার্টের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটার মাটি ও স্লোপ প্রটেকশনের কাজ হয়েছে। হবিগঞ্জ অংশের ৬ কিলোমিটারেও মাটির কাজ শেষ হয়েছে।

চলতি বছরের ২৮ মে থেকে কাঠইর-দিরাই-শাল্লা সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। ৬২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই সড়ক বাস্তবায়িত হলে সেটি নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ও কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। সুনামগঞ্জ-দিরাই-শাল্লা-আজমিরীগঞ্জ ও হবিগঞ্জের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং জানান, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এই সড়কের কাজ শেষ হবে। চলতি অর্থবছরেই এই সড়কের ওপরের কার্পেটিং ও নিচের লেয়ার পর্যন্ত কাজ শেষ হবে। সড়কটি সুনামগঞ্জের কাঠইর, দিরাই, শাল্লা থেকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও লাখাই হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল গোল চত্বরে গিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়