Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   ভাদ্র ৩০ ১৪৩২

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকার আশেপাশে যত কাশবন

কাশবন

কাশবন

ঋতুর রানি শরৎ মানেই কাশফুল আর নীলাকাশের চিরায়ত বাংলা। বাঙালির সামনে শরতের অপার সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বলেছেন, ‘শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি’। শরৎ যে এত অনিন্দ্য-সুন্দর, প্রতিটি বাঙালি তা অনুভব করে মর্মে মর্মে।

বছর ঘুরে এবারো কাশফুলের ‘সাদা ডালি’ সাজিয়ে বসে আছে শরৎ। দক্ষিণা বাতাসে কাশফুলগুলো ঢলে ঢলে কথা বলবে আপনার সঙ্গে। আহ্বান জানাবে তার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। শরতের কাশফুলের এ রূপ সহজেই যে কারো চিত্তে দোলা দিতে বাধ্য করবে। কিন্তু কোথায় পাবেন কাশফুলের রাজ্য? এই আয়োজনে ঢাকা ও এর আশেপাশে কাশবনের সন্ধান দেয়া হলো-

বসুন্ধরা ৩০০ ফিট

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল যেতে হয় ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে। এই রাস্তার দুই ধারেই রয়েছে অসংখ্য কাশবন। চাইলে হেঁটে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায়। রিকশা করেও ঘুরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘণ্টায় প্রতি ভাড়া গুনতে হবে ১০০ টাকা। কালো কুচকুচে পিচঢালা রাস্তার দুইপাশে শুভ্রতার সমারোহ মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কল্পনার রাজ্যে।

আফতাবনগর

রাজধানীর আফতাব নগরের ফাঁকা জমিতে শরতের সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে কাশফুল। পরিবার নিয়ে এই ঋতুতে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। তবে বিকেলে যাওয়াই ভালো।

দিয়াবাড়ি

উত্তরা দিয়াবাড়িতে প্রচুর কাশবন রয়েছে। কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফটোসেশনে জন্য দিয়াবাড়ি একটি আদর্শ জায়গা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। আর কাশবনের পাশে নদীর তীরের হিমেল বাতাস আলোড়িত করে দর্শনার্থীদের।

কেরানীগঞ্জ

বাবুবাজার বুড়িগঙ্গা সেতু অতিক্রম করে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে ধরে যেতে থাকলে দেখা পাওয়া যাবে কাশবন। এখানে কাশবনের পরিমান এতই বেশি যে পুরো এলাকা কাশফুলে সাদা হয়ে থাকে।

মায়াদ্বীপ

মেঘনার বুকে কাশফুলের মায়া ছড়িয়ে আছে মায়াদ্বীপ। এই দ্বীপে শুধু কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগই নয়, বোনাস হিসাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে চড়ে বৈদ্দের বাজার এসে সেখান থেকে মেঘনার ঘাট হয়ে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে মায়াদ্বীপ যাওয়া যায়।

সারিঘাট

ঢাকার যাত্রাবাড়ী বা তার আশে পাশে যারা আছেন, তারা ঘুরে আসতে পারেন সারিঘাট। নগরের যান্ত্রিক দিক থেকে সরে কিছুটা প্রাকৃতিক ছোঁয়ার জন্য জায়গাটা মন্দ নয়। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সঙ্গে নৌকা ভ্রমণ আপনার মন ভালো করে দেবে। এখানে এলে হারিয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার চির চেনা প্রকৃতির মাঝে।

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ

নদীর তীরবর্তী বালুময় প্রান্তরে শরতে কাশফুলের মেলা বসে। আর বুড়িগঙ্গা তীরের মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ কাশফুলের তেমনি এক রাজ্য। এছাড়াও বসিলা সড়ক ধরে এগিয়ে ওয়াশপুরের বিভিন্ন ফাকা জমিতে কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়।

কাশফুল বেশিদিন থাকে না, তাই কাশফুলের ছোঁয়া পেতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যান আপনার সুবিধা মতো জায়গায়।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ