Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের জবানবন্দি

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসার দুই শিক্ষক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন তাদের জবানবন্দি নেন। এর আগে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা দুইটায় তাদের আদালতে নেওয়া হয়।

ওই দুই শিক্ষক হলেন কুষ্টিয়া শহরের জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার শিক্ষক ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের মো. আল আমিন (২৭) এবং পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফ আলী (২৬)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশি কান্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামি মাদ্রাসার দুই ছাত্র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে পারেন।

দুই ছাত্র হলেন একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর (গোলাবাড়িয়া) এলাকার সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।

আদালত সূত্র জানায়, বেলা দুইটার দিকে দুই মাদ্রাসাশিক্ষক মো. আল আমিন ও মো. ইউসুফ আলীকে পুলিশের কড়া পাহারায় আদালতে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন তার খাসকামরায় প্রথমে ইউসুফ আলীর জবানবন্দি নেন। ঘণ্টাব্যাপী জবানবন্দি শেষে পৃথকভাবে আল আমিনেরও জবানবন্দি নেওয়া হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে জবানবন্দি শেষে পুলিশের কড়া পাহারায় প্রিজন ভ্যানে করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলাসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, দুই মাদ্রাসাশিক্ষক আদালতে স্বীকার করেছেন, তারা দুই ছাত্রকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন। গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঘটনার পরদিন সকালে খাবার খাওয়ার সময় ওই দুই ছাত্র তাদের (শিক্ষকদের) জানান, তারা রাতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে এসেছেন। এমন কথা শোনার পর ওই দুই শিক্ষক তাদের মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে বলেন।

পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ আসামিদের শনাক্তের জন্য মাদ্রাসায় গেলে এ দুজন শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাপারে তথ্য দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তারা এ দুই ছাত্রকে চেনেন না বলে জানান। ছাত্রদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় তাদের মামলায় আসামি করা হয়। ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটবে, এমন তথ্য ওই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক আগে থেকেই জানতেন। ওই শিক্ষককে পুলিশ এখনো খুঁজছে।

সূত্র আরও জানায়, পুলিশের তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আটজন পুলিশ কর্মকর্তা আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ভাস্কর্য ভাঙায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুই ছাত্র ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ