Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩২

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: আদালতে চার্জশিট দাখিল

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

একই সাথে, মামলা দুটি থেকে গ্রেফতারকৃত আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ৪ জন এখনও পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।

অভিযুক্ত আসামিরা হচ্ছেন, দেলোয়ার হোসেন দেলু, জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামাল, নূর হোসেন বাদল, আব্দুর রহিম, মোহম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম, সামছুদ্দিন সুমন ওরফে কন্ট্রাক্টর সুমন, ইসরাফিল হোসেন মিয়া, মাইন উদ্দিন সাজু, নূর হোসেন রাসেল, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, আব্দুর রব চৌধুরী ওরফে লম্বা চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আরিফ, মিজানুর রহমান ওরফে তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল ও নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী তদারকি করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল মোস্তফা ও নির্যাতন মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও নির্যাতন মামলায় ওই দুইজনসহ ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৮ আসামি। এখনো পর্যন্ত পলাতক রয়েছে জামাল উদ্দিন, আব্দুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ ও মিজানুর রহমান তারেক নামের চার আসামি।

পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উৎপল চৌধুরীর কাছে ১০০ পাতার ধর্ষণ ও ৩৩২ পাতার নির্যাতন মামলার চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। পলাতক চার আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার রাত ১০টার দিকে লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করে।

এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ