Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩২

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

পেরিয়ে গেছে ৪৫ ঘণ্টা, এখনো নিখোঁজ ৮ জন

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গত মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ডুবে যায় বরযাত্রীবাহী ট্রলার। এ ঘটনায় নববধূসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ৪৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি নিখোঁজ ৮ জনকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌ পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়ার ইউএনও মো. ইমরান হোসেন ।

ইউএনও বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ঘটনার ৪৫ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ৮ জনের কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধারের কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নববধু, নারী ও শিশুসহ ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিখোঁজরা হলেন জাকিয়া বেগম,  শিশু মো. হাছান, নার্গিস বেগম, হালিমা, লামিয়া, নিহা, আমির হোসেন ও আলিফ।

স্থানীয়রা জানান, হাতিয়ার নলের চরে বিয়ে অনুষ্ঠান শেষে নববধূ নিয়ে বরসহ ট্রলার যোগে ভোলার মনপুরা  যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডালচর এসে পৌঁছালে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।

নিহত নববধূর বাবা ইব্রাহীম সওদাগর জানান, হাতিয়ার ডালচরে ট্রলার ডুবির এ ঘটনা ঘটলেও প্রবল স্রোতে ৫টি মরদেহ ভেসে যায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে। জেলেরা নদীতে ভাসমান মরদেহগুলো ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধার করে টাংকির ঘাটে নিয়ে আসে। পরে তারা রামগতি থানা পুলিশকেকে খবর দেয়। অপরদিকে দুইটি মরদেহ পাওয়া যায় চানন্দি ঘাটে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর অনেকে সাঁতার কেটে ও অন্য ট্রলারের সহযোগীতায় তীরে উঠতে সক্ষম  হলেও শিশুসহ ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। 

তিনি আরো জানান, তার মেয়ে তাছলিমার সঙ্গে হাতিয়ার ঢালচরের বেলালের ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে নেয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্লাহ জানান, দুর্ঘটনার পরপরই হাতিয়ার নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে নামে। তবে সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধার অভিযান থেমে যায়। বুধবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করে হাতিয়ার ডালচরে রাখা হয়েছে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ