Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩২

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

২২ টন পণ্যের চালানের বিপরীতে পাওয়া গেল ১ টন

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মালয়েশিয়ার রপ্তানির জন্য দুটি কন্টেইনার খুলে তাতে ২২ টন পণ্যের বিপরীতে মাত্র এক টন পণ্য পেয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধভাবে কালো টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে কন্টেনারের খালি রাখা হয়েছিল।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপোতে রাখা দুটি কন্টেইনার খুলে দেখেন কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। কন্টেইনার দুটির সামনের দিকে কিছু পণ্য সাজিয়ে রাখা হলেও পেছনে খালি পাওয়া যায়।

কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (এআইআর) সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার মতিঝিলের বাংলা ফুড বেভারেজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান পণ্যের চালানটি মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করছিল। এক লাখ তিন হাজার ডলার মূল্যের পণ্যচালান দুটি রফতানির জন্য গত ১৮ ও ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আর ইসলাম এজেন্সি কাস্টমস হাউজে বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে। চালান দুটির প্রতিটিতে ১১ টন করে মোট ২২ টন পণ্য থাকার কথা ছিল। আজ সকালে আমরা জাহাজে ওঠার ডাক আসার অপেক্ষায় ডিপোতে থাকা কন্টেইনার দুটিতে তল্লাশি চালাই। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট ডিপো ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কন্টেইনারের সিল কেটে পণ্য পরীক্ষা করা হয়। এ সময় কন্টেইনারের সামনে সুসজ্জিত মুড়ি, ড্রাই কেক, টোস্টের কার্টুন সরিয়ে দেখা যায় পেছনে ফাঁকা এবং প্রতি কন্টেইনারে প্রায় ১১ টন পণ্য থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় আধা টন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পণ্য কম থাকার বিষয়ে ডিপো কর্তৃপক্ষ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, চালান দুটির সাহায্যে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে কালো টাকা সাদা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত অনুসন্ধান শুরু করবে কাস্টমস হাউজের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ইউনিট।’

আইনিউজ/বিএম

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ