Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩২

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

অতিথি পাখিরা যেখানে আত্মীয়ের মত

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শীত জেঁকে বসেছে প্রতিবছরের মত এবারও । ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি। মৌলভীবাজারের হাওর, বাঁওড়, বিল, লেকসহ অসংখ্য জলাশয় পাখির কলকাকলিতে ভরে উঠেছে।

জেলার রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের করতল গ্রামের ঐতিহাসিক শের-শাহর দীঘি মুখরিত হয়ে উঠেছে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমনে। ওরা শীতে আসে আবার গরমে চলে যায়।

এ দীঘিতে তিন বছর ধরে পাখিরা আসে। ব্যক্তি মালিকানাধীন দীঘির মালিক ও এলাকাবাসী পাখিগুলোর সঙ্গে আত্মীয়র মতোই আচরণ করেন। তারা অতিথি পাখির ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ করেন না। পাখিরাও যেন তাদের আতিথেয়তা বোঝে। মাঝে মাঝে নিষ্ঠুর শিকারিরা এলে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে বাধা দেন। পথচারীরাও চলাচলের সময় অতিথি পাখির ওড়াউড়ি আর দীঘির জলে ডুব দেয়া দৃশ্য উপভোগ করেন। ছবি তোলেন, কেউ আবার ভিডিও ধারণ করেন।

একটু উষ্ণতার জন্য পাখিগুলো সুদুর সাইবেরিয়া ও মধ্যএশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসে। এদের মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস, কালিম, বাটুল, চখাচখি, শামুকখোলসহ আরো নাম না জানা অনেক পাখি।

করতল গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, প্রতি বছর পাখি আসে। আমরা আনন্দ পাই। পাখিগুলো আমাদের কোনো ক্ষতি করে না। পোকা মাকড় আর দীঘির ছোট মাছ খায়। এলাকার সবাই নজর রাখেন যাতে কেউ শিকার করতে না পারে।

তিনি বলেন, মানুষের বেশি সমাগম হলে তারা চলে যায়। আবার তিন চার দিন পর চলে আসে। তাই আমরাও বেশি ছবি তুলতে বাধা দিই।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, আমি দেখেছি প্রচুর অতিথি পাখি আসছে, দেখতে ভালো লাগে। শিকারির উৎপাত থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

আনিউজ/বিএম

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ