জেলা প্রতিনিধি
হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরে গুমের চেষ্টা

সংগৃহীত ছবি
বরিশালের গৌরনদী পৌর শহরের দিয়াসুর এলাকার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৩৪) হত্যার পর ড্রামে ভরে মরদেহ গুমের চেষ্টাকারী মূলহোতা খালেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার খালেক হাওলাদারকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার জন্য বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বন্দর থানার হিজলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বরিশাল কার্যালয়ের সদস্যরা।
জানা যায়, নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর এলাকার সাহেব আলীর মেয়ে এবং গৌরনদী পৌর শহরের দিয়াসুর এলাকার বাসিন্দা কাতার প্রবাসী শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী। স্বামী কাতারে থাকায় সাবিনা তিন সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। অন্যদিকে গ্রেফতার হাওলাদারের বাড়ি গৌরনদীর মাহিলাড়া বিমেরপার এলাকায়। তিনি বরিশাল নগরীর কাশিপুরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের কেয়ারটেকারের চাকরি করেন।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন গত ২০ নভেম্বর তিনি শ্বশুরবাড়ি গৌরনদীতে আসেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে তার মুঠোফোনে একটি কল আসে। ফোনে কথা বলার পর সন্তানদের রেখে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই দিন রাত ১০টার দিকে গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে অভ্যন্তরীণ রুটের পিএস ক্লাসিক পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের ড্রামের ভেতর সাবিনা ইয়াসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গৌরনদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
পিবিআই বরিশাল কার্যালয়ের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির জানান, ‘সাবিনা ইয়াসমিন ও তার কাতার প্রবাসী স্বামী শহিদুল হাওলাদারের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য খালেক হাওলাদার প্রায় ১০ মাস আগে ৬ লাখ টাকা দেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। পরে এ কারণে খালেক বিদেশে যেতে অসম্মতি জানালে সাবিনা সম্প্রতি তাকে (খালেক) দেড় লাখ টাকা ফেরত দেন। কিন্তু বাকি সাড়ে ৪ লাখ ফেরত দিতে দেরি করছিলেন সাবিনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ নভেম্বর সকালে খালেক মুঠোফোনে কল করে কৌশলে সাবিনাকে ডেকে নেন।’
‘এরপর খালেকের বাসায় পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে সাবিনার হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন খালেক। পরে তার মরদেহ গুম করতে ড্রামে ভরে রাখা হয়। গত ২২ নভেম্বর খালেক হাওলাদারের গৌরনদীর মাহিলাড়া বিমেরপার এলাকার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রশি উদ্ধার করেছে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় তার স্ত্রী রহিমা বেগমকেও আটক করে পুলিশ।’
পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর খালেক হাওলাদার আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেফতার এড়াতে তিনি এক জায়গায় কয়েক দিনের বেশি অবস্থান করতেন না। দু’দিন আগে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি, খালেক বন্দর থানার হিজলতলা এলাকায় অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পিবিআই সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর গৃহবধূ সাবিনাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য দুপুরে খালেককে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আইনিউজ/বিএম
- বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো হাঙর
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ ফলাফল : নৌকা ৮৭৭৫৩, হাতপাখা ৩৪৩৪৫
- প্রেমের টানে বরিশালে, ‘দেশি প্রেমিকের’ হাতে মার খেয়ে পালালেন ভারতীয় প্রেমকান্ত
- গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রাপ্ত ফলাফল
- কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে এলাকায় মাইকিং
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা স্বপ্ন-সোহাগী ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ব
- চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
- বাড়িতে ফোন দিয়ে জানলেন তিনি বাঘের থাবায় মারা গেছেন, চলছে দাফনের প্রস্তুতি
- নির্বাচন ফলাফল লাইভ ২০২৪ | BD election result 2024
- দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মারা গেছেন