Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ৯ জানুয়ারি ২০২১
আপডেট: ১৩:৩২, ৯ জানুয়ারি ২০২১

আনুশকাহকে ধর্ষণের পর হত্যা: কে এই দিহান?

ইফতেখার ফারদিন দিহান

ইফতেখার ফারদিন দিহান

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ‘ও’ লেভেলের এক স্কুলছাত্রী আনুশকাহ নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানকে এরই মধ্যে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানববন্দিও দিয়েছে। কিন্তু সবার মনে এক প্রশ্ন কে এই দিহান? কি তার পরিচয়?

অবসরপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার ধনাঢ্য ব্যক্তি। তার তিন ছেলে। সুপ্ত, নিলয় এবং দিহান। তাদের আদি নিবাস রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের রাতুগ্রামে।

আবদুর রউফ বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে গ্রামে থাকেন। আর উনার স্ত্রী সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজ ছেলে নিলয় ঢাকায় থাকেন। নিলয় ব্যাংকে চাকরি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিহানের বড় ভাই সুপ্ত মাদকাসক্ত ছিলেন। এমনকি সুপ্তের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে সুপ্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে স্ত্রী রুনার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পরবর্তীতে তা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করা হয়।

স্থানীয় একজন জানান, বিয়ের পর থেকেই রুনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শেষে তার মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর রুনা হাসপাতালে মারা যান।

মারা যাওয়ার পর রুনার মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছিল। রুনার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবিও  জানানো হয়েছিল। পরে তারা টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নেয়। এরপর পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। 

সেই সুপ্তের ছোট ভাই দিহান গ্রুপ স্টাডির কথা বলে আনুশকাকে কলাবাগান লেক সার্কাসের বাসায় ডাকেন। সেখানে দিহানের বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় আনুশকাহ।

ইতোমধ্যে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন দিহান। দিহানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি ধার্য করেন আদালত। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ