Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

এখন ময়নার ইটের একখানা ঘর আছে

নতুন ঘরের সামনে ময়না বেগম

নতুন ঘরের সামনে ময়না বেগম

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সুকানদিঘী এলাকার বাসিন্দা ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র ময়না বেগম। এতদিন গৃহহীন থাকলেও এখন তার একটি ঘর আছে। শুধু ঘরই নয়, নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধাও পাবেন তিনি।

শুধু ময়না বেগমই নন, তার মতো এমন অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাড়ি পেয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের মধ্যে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন।

ঘর পেয়ে আনন্দ অশ্রুসজল চোখে ময়না বেগম বলেন, ‘আমি ছেলে, নাতিকে নিয়ে রেলের ধারে কুঁড়েঘর তুলে থাকি। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমি জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে ইটের ঘর দিবেন। এই বয়সে ইটের ঘরে থাকতে পারবো। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘর পেয়ে। দোয়া করি শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।’

এদিকে, লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় ৯৭৮ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই ‘স্বপ্নের নীড়’ পেলেন। প্রথম পর্যায়ে গৃহহীনদের মধ্যে দুই শতক জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সারাদেশের মতো লালমনিরহাটে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মধ্যে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে লালমনিরহাটে ৯৭৮ পরিবারকে নতুন এসব বাড়ি দেওয়া হয়েছে। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন।

চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, আমার ইউনিয়নে ৪৭টি ঘর পেয়েছি। যারা পাওয়ার উপযুক্ত এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করে ঘরগুলো দেয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় কালীগঞ্জের প্রতিটি ঘরের জন্য দুই শতাংশ খাসজমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরের প্রতিটিতে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় ১৫০টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ কাজ করা হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই অন্যের জমিতে বা রেললাইনের ধারে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়ক্রমে জেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ