Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩২

আইনিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২১
আপডেট: ১৮:০৪, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

বাংলাদেশি জেলেদের খোঁজে বাঘের আস্তানায় বিএসএফ

তিনজন ছিলেন নৌকায়। এর মধ্যে দুইজন যখন পানিতে নামেন তখন বাঘ আক্রমণ করে তাদের। বাঘ টেনে নিয়ে যায় দুইজনকে। এসব দেখে অপর জেলে নৌকা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিপরীতে ভারতীয় অংশে বাঘের আক্রমণের ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জীবিত থাকা তৃতীয় জন আবু মূসার সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানেই আছেন।

বিজিবি জানিয়েছে যে দুইজনকে বাঘে নিয়ে গেছে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য বাঘের আস্তানায় খোঁজ চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

নিহত দুই মৎস্যজীবীর মধ্যে একজন সাতক্ষীরার শ্যমানগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) আর অন্যজন একই গ্রামের মনোমিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। জীবিত থাকা তৃতীয় জেলে একই গ্রামের সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১)।

যেভাবে ঘটনার শুরু

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিপরীতে ভারতীয় অংশে পাইজুরি খালে (ম্যাপে নেই) তিনজন জেলে নিখোঁজ হন। জানা যায় তাদেরকে বাঘে আক্রমণ করেছে। এরমধ্যে দুইজনকে বাঘে নিয়ে গেছে।

কিন্তু শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাঘের আক্রমণে নিহত দুই মৎস্যজীবীর কোনো সন্ধান মেলেনি। জীবিত থাকা তৃতীয় মৎস্যজীবী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ করছেন।

জীবিত মৎস্যজীবীর ফোনালাপ

নিখোঁজের রাত (বৃহস্পতিবার) ৮টার দিকে মৎস্যজীবী আবু মুসা তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘রতন ও মিজানুরকে বাঘে ধরে মেরে ফেলেছে। আমি বেঁচে আছি।’

এই ফোনকলের উপর ভিত্তি করে তাদের সন্ধানে অভিযানে নেমেছে বিজিবি-বিএসএফ।

এদিকে বাঘে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধারের জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে বিজিবি।

তবে এখনো পাওয়া যায়নি নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি জেলের মরদেহ।

লাশ দুটি পাওয়া যাবে?

কৈখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিএম রেজাউল করিম বলেন, ‘বাঘের আক্রমণে নিহত দুই মৎম্যজীবীর মরদেহ দুটি উদ্ধারে সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়েছে আসছে। আমরা সবাই মরদেহ দুটি উদ্ধার ও জীবিত আবু মূসাকে ফিরেয়ে আনার দাবি করছি।’

কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, এখন মরদেহটি দুটি উদ্ধার করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জীবিত থাকা মৎস্যজীবী আবু মুসাকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনি এখন ভারতে রয়েছেন।

অপরদিকে শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর ১৭ বিজিবির সিও ইয়াছিন চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি চাপ দিচ্ছি, অনুরোধ করছি। তারাও মানবিক হয়ে বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। অবৈধভাবে ভারতীয় অংশ প্রবেশ করলেও দুইজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি মানবিক সেভাবেই আমরা দেখছি।

মরদেহ দুটির এখনো হদিস মেলেনি উল্লেখ করে তিনি জানান, জীবিত থাকা মৎস্যজীবীকেও ফেরত আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ