Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১২ ১৪৩২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:০৯, ৯ মার্চ ২০২১
আপডেট: ২৩:৩২, ৯ মার্চ ২০২১

চারতলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়েছিল বন্দি রুবেল

ফরহাদ হোসেন রুবেল

ফরহাদ হোসেন রুবেল

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালাতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের চারতলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেল। তবে এতে তার পায়ের কোনো ক্ষতি হয়নি। গ্রেফতারের পর ডাক্তারি পরীক্ষা ও এক্স-রে করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকালে নরসিংদী জেলা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে।

ফরহাদকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এরপর তাকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।  এরপর এক সংবাদ সম্মেলন করে সকল তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।

উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আসামি রুবেল কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের ৫ তলার একটি ফ্লোরে থাকতেন। গত ৬ মার্চ ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে ওই ভবন থেকে নিচে নামেন রুবেল। সেখানে একটা পানির হাউস থেকে তিনি চোখে মুখে পানি দেন। এরপর ডান পাশের গেট দিয়ে বেরিয়ে ওই ভবন থেকে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ গজ দূরে একটি নিমার্ণাধীন ভবনের চারতলায় উঠেন রুবেল। ১৫ মিনিট পর ৫টা ৩০ মিনিটে চারতলা থেকে লাফ দিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা প্রাচীরের বাইরে লাফিয়ে পড়েন। এরপর শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে প্রথমে ঢাকা ও পরে হয়ে নরসিংদীতে ফুফুর বাড়িতে যায় রুবেল।

তিনি জানান, রুবেলের উধাও হওয়ার ঘটনা তদন্তে পুলিশ পাঁচটি আলাদা টিম গঠন করে। এরপর সিসিটিভির ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধানে নামে। আজ সকাল ৯টার দিকে রুবেলকে নরসিংদী থানাধীন রায়পুরার তার ফুফুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘প্রথমে চারতলা থেকে লাফ দেয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাপারটি সত্যি। এত উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে কীভাবে তিনি নরসিংদী গেলেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে তার পা এক্স-রে করে দেখেছি, রুবেলের পা ভাঙেনি।’

এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, ‘রুবেল আগেও এ রকম দুর্ধর্ষ কিছু কাজ করত, অভ্যাসগত ছিনতাইকারী। তার আগে থেকে চারটি মামলা ছিল। শারীরিকভাবে রুবেল খুবই সক্ষম। তার মানসিক শক্তিও বেশি। শারীরিক সক্ষমতার কারণে তাকে অন্যরা ভয় পায়। তবে কিছু বিষয় তারা নিরাপত্তার খাতিরে গোপন রাখছেন। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।’

গত শনিবার ভোর সোয়া ৫টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে হাজতি রুবেল পালিয়ে যান। এই ঘটনায় জেলার মো. রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ আবু সাদতকে প্রত্যাহার করা হয়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি হত্যা মামলায় নগরীর ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে সদরঘাট থানা পুলিশ। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রুবেলের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা এলাকায়।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ