Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১২ ১৪৩২

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৩ মার্চ ২০২১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: এখনও নিখোঁজ ৪০০ জন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন। সোমবারের ছবি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন। সোমবারের ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সোমবার ঘটা অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০০ জন।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেনে, ‘অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০০ জন। পুড়ে গেছে ১০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গার ঘর। বিষয়টি তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ত্রাণ সচিব বলেন, ‘সোমবারের অগ্নিকাণ্ডটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ। এ ঘটনার রহস্য বের করার পাশাপাশি আগেরগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। মানবিক সহযোগিতা দিতে গিয়ে বার বার ঘটা এ ঘটনা যদি পরিকল্পিত হয় তবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

ক্যাম্পে কাজ করা এনজিওদের সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেটর গ্রুপের (আইএসসিজি) যোগাযোগ ও গণসংযোগ কর্মকর্তা সাইয়্যেদ মো. তাফহীম মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক পরিসংখ্যানে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ৮-ই ও ডব্লিউ, ৯ এবং ১০ ক্যাম্পে সোমবারের অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। আগুন থেকে রক্ষা পেতে গিয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে নানা বয়সী প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা।

কিন্তু বিকেলে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মহসীনের ব্রিফিংয়ের পর আইএসসিজির যোগাযোগ ও গণসংযোগ কর্মকর্তা সাইয়্যেদ মো. তাফহীম অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবটাই পরিগণিত করতে অনুরোধ জানিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আরেকটি বার্তা পাঠান।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বালুখালী ক্যাম্প ৮-ই, ডব্লিউতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় আগুন দ্রুত ৯ এবং ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুড়ে যায় প্রায় সাড়ে ১০ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর। এছাড়া পুড়ে গেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ