Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১১ ১৪৩২

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ২২ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ১৬:৪৫, ২২ এপ্রিল ২০২১

ইউএনও’র রোষানলে পড়ে ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা বঞ্চিত গ্রামপুলিশ

গ্রামপুলিশ রবিদাস ও তার পরিবার

গ্রামপুলিশ রবিদাস ও তার পরিবার

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রোষানলে পড়ে হয়রানির শিকার দীনেশ রবিদাস নামের এক গ্রামপুলিশ। গত ৮ মাস ধরে বেতন ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এক লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বহেড়াকান্দি গ্রামের দীনেশ রবিদাস ৪নং গালাগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ বা মহল্লাদার হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তার বাবা যমুনা রবিদাস ১৯৯৯ সালে বহেড়াকান্দি মৌজায় ২৮ শতাংশ জমি একই এলাকার মৃত কিতাব আলী উকিলের দুই কন্যা রহিমা খাতুন ও হালিমা খাতুনের কাছ থেকে সাবকাওলা দলিল মূলে ক্রয় করে ওই জমির একাংশে বসতবাড়ী ও একাংশে কালী মন্দির নির্মাণ করে তারা বসবাস করে আসছে।

জমির দলিলে খতিয়ান ও একটি দাগের ভূমির পরিমান কম-বেশি থাকায় যমুনা রবিদাস দলিল সংশোধনের নিমিত্তে বিগত ১১ জানুয়ারি ২০১০ ইং তারিখে বিজ্ঞ ফুলপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (মোকদ্দমা নং- ৮৯২০২০ অন্য প্রকার) দায়ের করেন।

পরবর্তীতে জমি বিক্রেতাদের অপর এক বোন দিলারা বেগম ওরফে মিনারা খাতুন ওই জমির কিছু অংশ মালিকানা দাবী করে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌসের শরনাপন্ন হন।

নির্বাহী অফিসার দীনেশ রবিদাশকে ডেকে এনে তার পিতা যমুনা রবিদাশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও জমির দখল ছেড়ে দিতে চাপ দেন। গ্রাম পুলিশ দীনেশ এ আদেশ মানতে না পারায় দীনেশকে বড় ধরনের শাস্তির হুমকি দেয়া হয়।

এরপর গত সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ ঐ গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ০৬ সেপ্টেম্বর তারিখে সেই নোটিশের জবাব প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে ইউএনও তাকে গ্রাম থেকে এনে ডিসেম্বর ৬ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারাকান্দা বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স ভবনের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ দেন। সেখানে তিনি ১০দিন রাত্রিকালীন পাহড়ায় থেকে দায়িত্ব পালন করেন।

এরপরও ইউএনও’র ক্ষোভ কমেনি, গত আগস্ট ২০২০ সাল থেকে ৮মাস ধরে গ্রাম পুলিশ দীনেশ রবিদাসের বেতন, ২টি উৎসব ভাতা ও ৯ মাসের থানায় যাতায়াত ভাতা প্রদান বন্ধ করে রেখেছেন।

দীনেশের আহাজারি, এখন তিনি অর্থাভাবে ৯ সদস্যের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে,অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবশেষে দীনেশ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন। আবেদন পত্রে সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া বেতন ভাতার জন্য জোর সুপারিশ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সে আমার আফিসের সহকারীর সাথে দুর্ব্যবহার করেছে ও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করে না বলেই তার বেতন বন্ধ রয়েছে।

আইনিউজ/হুমায়ুন কবির/এসডি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ