Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ২৯ মে ২০২৩

ছাত্রলীগ নেতাকে হ ত্যা মামলায় ৮ জনের মৃ ত্যু দ ণ্ড 

হ ত্যা মামলায় মৃ ত্যু দ ণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা। ছবি- সংগৃহীত

হ ত্যা মামলায় মৃ ত্যু দ ণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা। ছবি- সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাছান জসিমকে গুলি করে হ ত্যা মামলায় ৮ জনের মৃ ত্যু দ ণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। 

এক দশক আগের এই ঘটনার বিচার শেষে সোমবার (২৯ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনা ফারহিন এই রায় দেন।

মৃ ত্যু দ ণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলী হোসেন বাচ্চু, মো. মোস্তফা, মো. খোকন. আবুল হোসেন, মোবারক উল্যা, কবির হোসেন রিপন, জাফর আহম্মদ ও হিজবুর রহমান স্বপন।

রায় ঘোষণার সময় স্বপন ছাড়া বাকিরা সবাই কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন বলে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গণমাধ্যমকে বলেন, জসিম হত্যা মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছিল। এর মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন। বাকি ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার সঙ্গে একই বাড়ির মোবারক উল্যা ও আলী হোসেন বাচ্চুদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আসামিরা ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি মফিজ উল্যাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। 

এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এর পর থেকে মফিজদের মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেন আসামিরা। মামলা প্রত্যাহার না করলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এ জন্য মফিজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে না যেতে পেরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকতেন। 

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মোবারকদের করা মামলাটি উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরনবী তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

অভিযোগপত্রে মফিজের ছেলে হাছান জসিমের নাম বাদ দেওয়ায় মোবারকেরা চরম ক্ষিপ্ত হন। এ কারণে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাছান জসিম ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে আত্মীয় গোলাম মাওলার বাড়িতে আত্মগোপনে যান। জসিমের সঙ্গে তাঁর বড় ভাই আবদুল হাই ও গোলাম মাওলার ভাই মাসুদ একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই দিন গভীর রাতে আসামিরা জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা জসিমের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে জসিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় পরদিন মেহেদী হাছান জসিমের বাবা মফিজ উল্যাহ বাদী হয়ে সদর থানায় মোবারকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

পরে ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মোবারক উল্যাহ, আলী হোসেন বাচ্চু, অজি উল্যাহ, কবির হোসেন রিপন, হিজবুর রহমান স্বপন, আবুল কাশেম, সফিক উল্যাহসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে আসামি আবুল কাশেম, সফিক উল্যা, আমির হোসেন ও অজি উল্যা মারা গেছেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রায় ১১ বছর পর আজ আদালত রায় প্রদান করেন। 

মামলার বাদী মেহেদী হাছান জসিমের বাবা মফিজ উল্যাহ গণমাধ্যকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই মামলায় দীর্ঘদিন পর রায় হয়েছে। রায়ে ৮ আসামিকে মৃ ত্যু দ ণ্ড দিয়েছেন। এতে মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে রায় বাস্তবায়ন দ্রুত করার দাবি জানাচ্ছি।’

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়