ফিচার ডেস্ক
২৭০০ মিলিয়ন বছর বয়সী ঢেউয়ের পাহাড়
ঢেউয়ের পাহাড়
পৃথিবীর পরতে পরতে যেন মুগ্ধতা ছড়িয়ে আছে। পাহাড়, বনাঞ্চল আর নানা সময় আবিষ্কার হওয়া গুহা আমাদের বিস্মিত করছে। এসব কিছুই প্রাকৃতিকভাবে এগুলো তৈরি হয়েছে। এর আগে আমরা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন গুহা আর পাহাড় সম্পর্কে জেনেছি।
ছবিটি দেখে নিশ্চয় ভাবছেন, সাগরের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পরছে পাড়ে। বিশাল এক ঢেউ যেন নিমিষেই গ্রাস করবে সব কিছু। ফিরে যাওয়ার সময় সামনে যা পাবে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। ফেলে রেখে যাবে স্মৃতি। না এমনটার কিছুই ঘটবে না। এটি এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে।
কি ভাবছেন? স্ট্যাচু, বলে কেউ ঢেউটি আছড়ে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে তাকে থামিয়ে দিয়েছে কেউ। নাহ একেবারেই তা নয়। সাগরের ঢেউয়ের মতো দেখতে এটি একটি পাহাড়। পাহাড় যদি দেখেন তবে আপনার কাছে মনে হতে পারে যে সাগরের ঢেউ দেখছেন। আসলে কিন্তু এগুলো মোটেই ঢেউয়ের ছবি নয়। এগুলো এক রকমের পাহাড় যা দেখতে সাগরের ঢেউয়ের মতই মনে হয়।

প্রাকৃতিক এই বিস্ময়টি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হাইডেন শহর থেকে ৩ কিঃমিঃ পূর্বে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শহর পার্থ থেকে ৩৫০ কি.মি দক্ষিণ পূর্বে এই পাহাড়টির অবস্থান। সমুদ্রের ঢেউয়ের মত আকৃতির একটি প্রাকৃতিক শিলার গঠন হলো এই পাহাড়,নাম হল ঢেউ পাহাড় বা ওয়েভ রক। এই ওয়েভ রক কোনো রকম সন্দেহ ছাড়া বিশ্বের সব থেকে সুন্দর স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রায় ১৫০ মিটার উঁচু এবং প্রায় ১১০ মিটার দীর্ঘ।এই পাহাড় ধূসর এবং লাল গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত। বিজ্ঞানীদের মতে এই অত্যাশ্চর্য পাথর ২৭০০ মিলিয়ন বছর বয়সী। পরে বিভিন্ন সময়ে ক্ষয়ের কারণে বর্তমান রূপ নিয়েছে।

শিলার রং বৃষ্টির রাসায়নিক (কার্বনেট এবং আয়রন হাইড্রক্সাইড) দ্বারা সৃষ্ট। এই পাহাড় দিনের বিভিন্ন সময়ে তার রং পরিবর্তন করে। এই ওয়েভ রক হলো (একটি বিচ্ছিন্ন পাহাড় বা পর্বত যা হঠাৎ করে সমতল থেকে উপরে উঠা (ক্রমবর্ধমান) পাহাড়ের অবশিষ্টাংশ।
ওয়েভ রক ১৬০ হেক্টর বা ৩৫৯ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। যা হাইডেন ওয়াইল্ডলাইফ পার্কেরই অংশ। এই ঢেউয়ের পাহাড়ের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য আছে। স্থানীয় বাল্লারডং উপজাতিরা বিশ্বাস করেন যে এই পাহাড় রংধনু সাপের সৃষ্টি করেছিল। যে জমির সমস্ত পানি খেয়ে ফেলে।
শুধু পাহাড়ই নয়, এই এলাকাটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের একটি মুক্ত অভয়ারণ্যও বটে। প্রায় দেড় লক্ষ পর্যটক প্রতি বছর অসাধারণ সুন্দর এই ঢেউ পাহাড় দেখতে এখানে উপস্থিত হয়।
আইনিউজ/এসডিপি
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!

























