Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৭ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ১১ ১৪৩২

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

টিকিটবিহীন যাত্রী-কালোবাজারি দমনে রেলওয়ের বিশেষ অভিযান

ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক তানজিরুজ্জামান ও সঞ্জয় এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। ছবি: আই নিউজ

ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক তানজিরুজ্জামান ও সঞ্জয় এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। ছবি: আই নিউজ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টিকিটবিহীন যাত্রী ও টিকিট কালোবাজারি রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মূলত রেলওয়ে যাত্রীসেবা স্বচ্ছ ও অনিয়মমুক্ত রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রোববার দুপুরে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় মো. আলামিন নামে এক ট্রেন যাত্রীকে টিকিটবিহীন যাতায়াতের জন্য জরিমানা করা হয়। তিনি ঢাকা থেকে ট্রেনে করে শ্রীমঙ্গল এসেছেন। এছাড়াও আরো দুজন যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য মিল না থাকায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে।


“সবসময় আমরা সাধারণ নিরীহ জনগণই প্রতারণার শিকার ও বলির পাঠা হয়ে যাচ্ছি। নিরীহ যাত্রীরা জাতীয় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।” বলছিলেন কাজী আছমা আক্তার।

ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটি) তানজিরুজ্জামান ও সঞ্জয় কুমার হাওলাদার এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘এনআইডি যার, টিকিট তার’ নীতির আওতায় যাত্রীদের টিকিট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়।

অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার, স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন।

ট্রেন যাত্রী মো. আলামিন বলেন, “আমি সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে স্টেশনে থাকা আলাদা লোকজনের থেকে টিকিট ক্রয় করি চারশত টাকা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে এসে সিট ছেড়ে দেই। দাঁড়িয়ে থাকার সময় ট্রেনের টিটি আমার থেকে টিকিট বাবদ ১২০ টাকা নিয়েছেন। এ নিয়ে আমার ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ভাড়া পড়ছে ৫২০ টাকা। শ্রীমঙ্গল স্টেশনে আসার পর টিকিট চেক করা হলো। চেক করে দেখা গেলো আমার টিকিট ভূয়া! সেক্ষেত্রে আমার ৫৫০ টাকা জরিমানা দিতে হলো। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে টিটিকে টিকিট দেওয়ার কথা বলায়, তিনি আমাকে বললেন কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি যেনো তার কথা বলি যে, তার আওতায় এই বগি। কিন্তু পরবর্তীতে এই লোকের আর দেখা-সাক্ষাৎ পাইনি।”

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “স্টেশনে প্রবেশের সময় ও ট্রেনে উঠার পর যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি যাচাই করা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।”

ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক সঞ্জয় কুমার হাওলাদার জানান, “অভিযান চলাকালে তিনজন যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য না মেলায় মোট ২ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি ও অনিয়ম রোধে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা আমাদের নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।”

এদিকে ট্রেনে চলাচল করা সাধারণ নিরীহ যাত্রী থেকে জরিমানা আদায়ের বিষয়ে টিআইবি শ্রীমঙ্গলের সহসভাপতি কাজী আছমা আক্তার বলেন, “ট্রেনে যাতায়াত করা যাত্রী থেকে জরিমানা আদায়ের বিষয়টি আমরা সাধারণ জনগণ হিসেবে ভালো চোখে নিচ্ছি না। সবসময় আমরা সাধারণ নিরীহ জনগণই প্রতারণার শিকার ও বলির পাঠা হয়ে যাচ্ছি। যারা টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত, তারা ঠিকই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। নজরদারি বা আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। এতে করে ট্রেনে চলাচল করা নিরীহ যাত্রীরা জাতীয় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।” 

আই নিউজ/আরএ

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়