হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১২:৩৬, ২২ নভেম্বর ২০২০
সাদাত রহমান: দুঃসময়ে শিশু শান্তি পুরস্কার পাওয়া এক বাঙালি কিশোর
বর্তমান সময়ে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদেরকে একটি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেটাকে বিশেষজ্ঞরা সাইবার বুলিং বলে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। আমাদের দেশে কিছুদিন একটি মেয়ে অনলাইনে হয়রানীর শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে।
প্রথমে সাইবার বুলিং কী স্পষ্ট করে জানা যাক। ধরুন আপনার পরিচিত মেয়ে যার নাম রুশনা। ফেসবুকে তার একটি একাউন্ট আছে। রুশনা ফেসবুকে তার বন্ধুদের সাথে যুক্ত হয়েছে। সে বন্ধুদের সাথে তাঁর বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে প্রকাশও করে। একদিন রুশনার মোবাইলে কেউ তার আপত্তিকর একটা ছবি পাঠালো। অনলাইনে এই ধরনের হয়রানিকেই সাইবার বুলিং বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত সাইবার বুলিং এর শিকার হলেও আমাদের দেশের মেয়েরা অন্যদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাই এই হয়রানী একাই ভোগ করতে হয় শিকার কিশোরীকে। একটা সময় হয়তো সে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশি কিশোর সাদাত আদনান। সাইবার বুলিং-এর শিকার হয়ে এক কিশোরীর মৃত্যুর সংবাদ দেখে একটি মোবাইল অ্যাপেস বানায় কিশোর আদনান। যেই অ্যাপের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদেরকে সাইবার বুলিং সম্পর্কে শেখানো হয়ে থাকে। আর কিশোর সমাজে এমন গুরুত্ববহ অবদান রাখার জন্য এবছর বেছে নেওয়া হয়েছে সাদাত আদনান। বাংলাদেশের নড়াইলের এই কিশোর ৪২ দেশের ১৪২ জন প্রতিযোগীর মধ্যে এই পুরস্কার জিতলেন।
অ্যাপটি দিয়ে কিশোর–কিশোরীরা জানতে পারে কীভাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সুরক্ষিত থাকতে পারে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিশোর–কিশোরী এই অ্যাপ ব্যবহার করছে। এই অ্যাপের মাধ্যেম ৬০টির বেশি অভিযোগের মীমাংসা হয়েছে এবং ৮ জন সাইবার অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।
এর আগে শিশোদের নোবেল খ্যাত এই পুরস্কার পাওয়া মালালা ইউসুফ জাই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সাদাতকে পুরস্কার দেন।
সাদাত রহমান নড়াইল আবদুল হাই সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে এক কিশোরী আত্মহত্যার পর তিনি ‘নড়াইল ভলেন্টিয়ারস’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। এরপর দেশে অনুষ্ঠিত কয়েকটি প্রতিয়োগিতায় জিতে একটা ফান্ড তৈরি করেন তিনি। পরে সেই ফান্ড থেকেই ‘সাইবার টিনস’ নামে অ্যাপটি তৈরি করেন।
অ্যাপটি দিয়ে কিশোর–কিশোরীরা জানতে পারে কীভাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সুরক্ষিত থাকতে পারে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিশোর–কিশোরী এই অ্যাপ ব্যবহার করছে। এই অ্যাপের মাধ্যেম ৬০টির বেশি অভিযোগের মীমাংসা হয়েছে এবং ৮ জন সাইবার অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।
আইনিউজ/এইচএ
- কেএফসির মালিকের জীবন কাহিনী
- প্রজাপতি: আশ্চর্য এই প্রাণীর সবার ভাগ্যে মিলন জোটে না!
- বিশ্বের অদ্ভুত কিছু গাছের ছবি
- মা-শাশুড়িকে হারিয়েও করোনার যুদ্ধে পিছিয়ে যাননি এই চিকিৎসক
- যেখানে এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার সমান!
- তিন রঙের পদ্মফুলের দেখা মিলবে এই বিলে
- সোনার দাম এত কেন : কোন দেশের সোনা ভালো?
- রহস্যময় গ্রামটি লাখো পাখির সুইসাইড স্পট
- ২০২৩ সালে পৃথিবীর শক্তিশালী ১০টি দেশ!
- বায়েজিদ বোস্তামি: মাতৃভক্তির এক অনন্য উদাহরণ

























