Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৭ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ১১ ১৪৩২

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ৩ অক্টোবর ২০২০

মহাকাশে ১৯৫ কোটি টাকার টয়লেট পাঠাচ্ছে নাসা

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) শূন্য-অভিকর্ষের (জিরো-গ্র্যাভিটি) টয়লেট পাঠাচ্ছে নাসা। ভবিষ্যৎ চন্দ্র অভিযানকে সামনে রেখে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে সেখানে।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এই টয়লেট নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৩ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৫ কোটি টাকা। এটি কার্গো শিপের মাধ্যমে আইএসএসে পাঠানো হবে।

নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, টয়লেটের ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। যাতে নারী নভোচারীরা আগের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে রকেটে করে ভার্জিনিয়া থেকে টয়লেটটি মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু উৎক্ষেপণের তিন মিনিট আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে মিশন স্থগিত হয়। প্রকৌশলীরা যদি ত্রুটিগুলো সারাতে পারেন তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও চেষ্টা চলবে।

নাসা জানাচ্ছে, টাইটানিয়াম স্পেস টয়লেটটি আরও দূরবর্তী অঞ্চলে মিশনে সাহায্য করবে। শূন্য অভিকর্ষ অঞ্চলে শরীরের বর্জ্য নিঃসরণের জন্য এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্যাকুয়াম সিস্টেম। গোপনীয়তা রক্ষায় পৃথিবীর পাবলিক টয়লেটের মতোই কিউবিকলের মধ্যে এটি থাকবে। এর ওজন ৪৫ কেজি, উচ্চতায় ২৮ ইঞ্চি। বর্তমান টয়লেটের চেয়ে ৬৫ ভাগ ছোট ও ৪০ ভাগ হালকা।

নাসার প্রজেক্ট ম্যানেজার মেলিসা ম্যাককিনলে জানান, অনেকটা সময় নিয়ে ইউনিভার্সেল ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইউডব্লিউএমএস) টয়লেটটির নকশা করা হয়েছে। কমোড সিট ও ইউরিন ফ্যানেল আগের তুলনায় পরিমার্জিত। নারী নভোচারীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।

টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে নাসার নভোচারী জেসিকা মেয়ার এই টয়লেটকে ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কল্পনা করুন আপনার একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আছে এবং আপনি জিনিসগুলো চুষে ফেলছেন। একটি বড় ফ্যান চালু করার পর সবকিছুকে টেনে টয়লেটে ফেলছে।

আরও জানান, এই টয়লেট বিশেষ কায়দায় প্রস্রাবকে নভোচারীদের জন্য খাবারের পানিতে পরিণত করবে। মেয়ারের ভাষায়, আইএসএসে ‘আজকের কফি কালকেরও কফি’।

তবে মলের ক্ষেত্রে এখনই এমনটা ঘটনা ঘটছে না। নাসা জানিয়েছে, এর সক্ষমতা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়