Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৬ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ১১ ১৪৩২

আইনিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
আপডেট: ১১:২৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

চাঁদ থেকে ‘মাটি’ নিয়ে ফিরলো চীনা চন্দ্রযান

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ থেকে ‘মাটি’ ও পাথর নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে চীনের চন্দ্রযান চ্যাং’ই।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় অন্তঃমঙ্গোলিয়া অঞ্চলে চন্দ্রযানটি অবতরণ করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে দেশে ফেরার ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর এবার নমুনা নিয়ে ফিরল চীন।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর চ্যাং’ই মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে চীন। চন্দ্রযানটি ১ ডিসেম্বর চাঁদের ‘ঝড়ের মহাসাগর’ বলে পরিচিত এলাকার উত্তরে অবতরণ করে।

চাঁদ নিয়ে কথা-উপকথা

প্রাচীনকালে সংস্কৃতি ছিল বিরল। বেশির ভাগ মানুষেরই নির্দিষ্ট কোনো বাসস্থান ছিল না। তারা মনে করত, চাঁদ প্রত্যেক রাত্রি মরে ছায়ার জগতে চলে যায়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করত যে চাঁদ সূর্যকে পিছু করছে।

পিথাগোরাসের সময়ে, চাঁদকে একটি গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মধ্যযুগে কিছু মানুষ বিশ্বাস করত যে চাঁদ হয়তো একটি নির্ভুলভাবে মসৃণ গোলক যা অ্যারিস্টটলের তত্ত্ব সমর্থন করত এবং অন্যান্যরা মনে করত সেখানে সাগর আছে (সাগর বলতে চাঁদের উপরিতলের অন্ধকার অঞ্চলকে বোঝায় যা চিত্র শব্দতে এখনও ব্যবহার করে)।

১৬০৯ সালে গ্যালিলিও যখন তাঁর দূরবীক্ষণ চাঁদের দিকে ধরলেন, তিনি দেখলেন যে চাঁদের উপরিতল মসৃণ ছিল না। তা ক্ষুদ্র কালো রেখা, উপত্যকা পর্বত এবং খাদের গঠিত হয়। সেই মুহূর্ত থেকে তিনি অনুভব করতে শুরু করেন যে এটি পৃথিবীর মতোই একটি কঠিন গলিত পদার্থ ছিল যা পরে এই রূপ নেয়।

১৯২০ সালেও মনে করত যে চাঁদের শ্বাস গ্রহণের উপযোগী বায়ুমণ্ডল আছে (অথবা ঐ সময় বিজ্ঞানের কাল্পনিক বানোয়াট গল্প বলত) এবং কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি ক্ষুদ্র বায়ু স্তরের উপস্থিতি আছে বলে অনুমান করত কারণ চাঁদ পর্যবেক্ষণ সময় তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু  উড়ন্ত বস্তু দেখে ছিল।

চাঁদ তার নাম হলো যেভাবে

বাংলায় চাঁদ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ চন্দ্র থেকে এসেছে। এছাড়াও শশধর, শশী প্রভৃতিও চাঁদের সমার্থক শব্দ। চন্দ্র পৃষ্ঠের ভূমিরূপকে পৃথিবী থেকে খালি চোখে খরগোশ বা শশকের ন্যায় লাগে। তাই শশক ধারক রূপে কল্পনা করে শশধর নামটি দেওয়া হয়েছে।

ইংরেজি ভাষায় পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটির The Moon ছাড়া অন্য কোনো নাম নেই। অবশ্য অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহের আরও নাম থাকতে দেখা যায়। মুন শব্দটি জার্মান ভাষাগোষ্ঠীর কোনো একটি থেকে এসেছে যার সাথে সম্পর্কিত রয়েছে লাতিন শব্দ mensis

মেনসিস শব্দটি মূলত প্রাক-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মূল me- থেকে এসেছে। এই একই মূল থেকে আবার ইংরেজি measure শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। মিজার শব্দটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে, কারণ এর সাথে শব্দের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিমাপের প্রকাশের সম্পর্ক রয়েছে। যেমন: Monday, month এবং menstrual

১৬৬৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত ইংরেজি ভাষায় মুন বলতে কেবল মাত্র চাঁদকেই বুঝাত। কিন্তু ১৬৬৫ সালে তখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্যান্য গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহের ক্ষেত্রেও এই মুন শব্দটি প্রয়োগ করা শুরু হয়।

মুনা শব্দের লাতিন প্রতিশব্দ হচ্ছে Luna। অন্য গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহের সাথে পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহের পার্থক্য করার জন্য চাঁদকে ইংরেজিতে মুন না বলে তাই অনেক সময়েই লুনা বলা হয়ে থাকে। ইংরেজিতে চাঁদের বিশেষণ হিসেবে লুনার শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়