Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১০ ১৪৩২

ইমরান আল মামুন

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ৫ আগস্ট ২০২৩

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩

আপনাদের মত অনেক পাঠক জানতে চেয়েছেন বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ কি? আর একই সঙ্গে আপনার জানতে পারবেন বিসিএস পরীক্ষায় কয়বার দেওয়া যায় সে বিষয়ে। আসুন তাহলে দেখে নেই আপনারা কয়বার এবং কিভাবে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন সে বিষয়টি।

বাংলাদেশের যত পড়াশুনা কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে পরীক্ষা রয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন এর বিসিএস পরীক্ষা। আর আজকে আমরা এই পরীক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করব। যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন এই পরীক্ষা কিভাবে অংশগ্রহণ করতে হয় এবং তাদের যোগ্যতা হয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা।

এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে। কারণ আমাদের দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থেকে বিসিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়া। এমনকি প্রত্যেকটি অভিভাবকের স্বপ্ন থাকে। তাই এখানে সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রার্থিতা কেবল নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন হলেই তাদেরকে আবেদনের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩

এখানে আসন সংখ্যা একদম নির্ধারিত থাকে। বেশ কয়েকটি ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ক্যাডার দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিশেষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয় কয়েকটি ক্যাটাগরিতে। তার মধ্যে কিছু ক্যাটাগরি হল হচ্ছে:

  • শিক্ষা ক্যাডার
  • অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ক্যাডার
  • কৃষি ক্যাডার
  • মেডিকেল ক্যাডার 
  • পুলিশ ক্যাডার

এছাড়াও আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রার্থীরা। যে সকল প্রার্থীরা বিশেষ ক্যাডারের উত্তীর্ণ হয় তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল পদে কর্মরত থাকেন। তাদের হাত ধরে এই দেশের সকল কার্যক্রম চালনা করা হয়ে থাকে।‌ বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে কি কি হওয়া যায়? 

নতুনদের বেশিরভাগ প্রশ্ন থাকে একজন বিসিএস ক্যাডার কি কি হতে পারে? আপনি উপরে বেশ কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট দেখতে পেরেছেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে উপরের ক্যাডার গুলো। আপনি কোন অঞ্চলের ডিসি হতে চাচ্ছেন অথবা ম্যাজিস্ট্রেট হতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হতে হবে।‌ আবার আপনি যদি পুলিশের এসপি হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিশেষ পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ উচ্চপদস্থ দেশের সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অবশ্যই বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েছে এখানে তাই।

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩

বিশেষ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অবশ্যই তাদেরকে যে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে তা আলোচনা করা হচ্ছে। একজন প্রার্থীকে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করার জন্য অবশ্যই তাকে চার বছর মেয়াদে অনার্স সম্পূর্ণ হতে হবে। যারা তিন বছরের ডিগ্রি করছি করবে তাদেরকে অবশ্যই মাস্টার্স কোর্সটি সম্পন্ন করতে হবে।‌ আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকে কত বয়স পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। বিশেষ পরীক্ষার্থী দেওয়া যায় মূলত ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। এর মধ্যে একজন প্রার্থী বিশেষ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে এবং বিসিএস ক্যাডার হতে পারবে। তবে কোন কোন ক্যাডারের ক্ষেত্রে ৩২ বছর পর্যন্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়? 

বিভিন্ন প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে থাকে বিসিএস পরীক্ষা মোট কতবার দেওয়া যায়। মূলত বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায় অনেকবার যতবার আপনার আবেদনের সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ আপনার বয়স সময়সীমা যতোটুকু রয়েছে ততটুকুর মধ্যে আপনি বারবার আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার যদি উপরের বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা থাকে তাহলে অবশ্যই আবেদন করতে পারবেন।

বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া 

একজন প্রার্থী বিসিএস দেওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন হলে তারপর তাকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে হয়। আসুন দেখে নেই কোন কোন ধাপ অতিক্রম করতে হয় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

প্রথম ধাপ: যে সকল প্রার্থীরা এখানে আবেদন করে তাদেরকে একটি প্রাথমিক যোগ্যতা বাছাই করে নেওয়া হয়। এখানে প্রচুর লোক আবেদন করে। এখানে একটি ২০০ নাম্বারের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যে সকল প্রার্থীরা ৫০ শতাংশ নম্বর পাবে, তারাই পরবর্তী ধাপে যেতে পারবে।

দ্বিতীয় ধাপ: যারা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদেরকে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিসিএস পরীক্ষার প্রধান একটি অংশ হচ্ছে এটি। তাই প্রার্থীদের এ পরীক্ষায় অনেক ভালোভাবে প্রিপারেশন নিতে হয়। এর মাধ্যমেই দ্বিতীয় ধাপে যাচাই করা হয় বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা। যে সকল প্রার্থীরা এখানে ৫০ শতাংশ নম্বর পায় তারাই উত্তীর্ণ হয় এবং তারা মৌখিক পরীক্ষার জন্য সুযোগ পেয়ে থাকে। এখানে প্রায় ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল ধাপ: এই ধাপে প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র এখানে মৌখিক পরীক্ষা নয় পূর্বের লিখিত পরীক্ষার বেশ কিছু নম্বর এবং নিয়ম অনুসারে এখানে নম্বর সংযোজন করা হয়ে থাকে। সকল ফলাফল নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়।

বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা লাগে কি?

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে শারীরিক যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া। বেশ কয়েকটি মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শুধুমাত্র পুলিশ এবং আনসার ক্যাটাগরিতে শারীরিক যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। এর জন্য ছেলেদের প্রয়োজন হয় ৫ ফুট ইঞ্চি উচ্চতা।

আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩ সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটি ধারণা পেয়েছে। চাকরি এবং শিক্ষা সংক্রান্ত আরো সকল তথ্যগুলো আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

Green Tea
সর্বশেষ