আই নিউজ প্রতিবেদক
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, সবশেষ যা জানা গেল

পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর ঠিক দুদিন আগে নতুন করে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সবশেশ ঘটা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন এর ঘটনা। ঢাকার গোপীবাগে আগুনে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগি আগুনে পুড়ে গেছে। সবশেষ পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কমলাপুর পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। চলন্ত ট্রেনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুড়ে যায় তিনটি বগি। দুইটি শিশুসহ অন্তত ৪ জন এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন এর ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগুনের কারণ এখনই বলা যাবে না কারা করেছে। তবে এটি যে নাশকতা সেটি স্পষ্ট। বোঝাই যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
আগুনের কোনো ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম কাজ ছিল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। যেটা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা করেছেন। জীবন বাঁচানো তাদের প্রথম কাজ। সেটা তারা করেছেন। আমরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), বিজিবি, র্যাবসহ সকলে এসেছে। আমাদের কর্মকর্তারা এসেছেন। আমাদের যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আছেন তারা এখন থেকে আলামত সংগ্রহ করবেন। আমরা চেষ্টা করব কী কারণে আগুন লেগেছে সেটি জানার।’
বেনাপোল এক্সপ্রেসে বিদেশি যাত্রীর বিষয়ে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটা নাশকতা মনে হয়েছে। যাত্রীবেশে হয়তো এটা করেছে। বিদেশি যাত্রীর বিষয়টা জানা নেই। এটা রেলওয়ে পুলিশ বলতে পারবে। এই বগিতে ক্যামেরা ছিল কিনা জানা নেই। তবে রেলওয়েকে অনুরোধ করা হয়েছিল ক্যামেরা লাগাতে।’
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল থেকে বেলা দেড়টায় ঢাকায় উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটির পৌঁছানোর কথা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। কিন্তু, পথে ২৫ মিনিট দেরি করে ট্রেন। ট্রেনটিতে মোট যাত্রী কতোজন ছিলেন এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি রেলের কর্মকর্তারা।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার পর এর তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির বীভৎসতা জানা যায় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনে যখন আগুন জ্বলছিল, তখন কেউ কেউ জানালা দিয়ে তাঁদের বের করার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু, আগুনের উত্তাপ এতো বেশি ছিল যে, ট্রেনের কাছে কেউ যেতে পারছিলেন না। পরে এসে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে পানি ছিটানো শুরু করে।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে বা পুড়ে যারা আহত হয়েছেন তাঁদেরকে আশেপাশের হাসপাতালে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের দুই প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহাগ ও রুবেল। তাঁরা জানান, আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী লোকটি ট্রেনের জানালা দিয়ে হাত ও মাথা বের করে আহাজারি করেছিলেন- ‘ভাই আমার স্ত্রী-সন্তানকে বাঁচান।’ তাকে বেরিয়ে আসার কথা বললেও তিনি স্ত্রী-সন্তানকে বের করার জন্য বার বার আকুতি জানাচ্ছিলেন। এর পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ওই ব্যক্তি মারা যান।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের