আই নিউজ ডেস্ক
ভোটকে ঘিরে দেশ জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

ছবি- সংগৃহীত
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর ভোটগ্রহণ। ভোটকে ঘিরেদেশ জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটাভুটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে নিরাপত্তা টহল ও তল্লাশি। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। গুজব ঠেকাতে অনলাইনেও চলছে নজরদারি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটকেন্দ্র ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী সজাগ রয়েছে। তারা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি রেখেছে। তবে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।
এদিকে, মাগুরায় ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর নির্বাচনের দিন একটি গোষ্ঠীর নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, নাশকতার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশপ্রধান আরও বলেন, তারা একটা পরিকল্পনা করেছিল, বিকট আওয়াজ করে, ককটেল চার্জ করে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করবে। তথ্য পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা যত পরিকল্পনাই করুক, সবকিছুই মোকাবিলা করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব বাহিনী মিলে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে থানা পুলিশ বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সেবা নিতে পারেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণের দিন বিএনপির ডাকা হরতালের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, নির্বাচনের জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে আছে। তারা দলে দলে কেন্দ্রে যাবেন। হরতালকারীদের খুব একটা পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ রকম কাজ করার কোনো সুযোগ তারা পাবে না।
ভার্চুয়াল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর বিষয়ে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমাদের বিভিন্ন ইউনিট নজর রাখবে। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটগুলো কাজ করছে। সাইবার ওয়ার্ল্ড, সাইবার স্পেস– সব জায়গায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি।
ফায়ার সার্ভিসের মনিটরিং সেল
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সহিংসতায় অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করা হয়েছে। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে সেলের ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
এর আগে নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় গত ২৯ ডিসেম্বর সারাদেশে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়। আর ৩ জানুয়ারি মাঠে নামে সশস্ত্র বাহিনী। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনাসহ ১৯ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছে নৌবাহিনী। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫ উপজেলায় এককভাবে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি। সেইসঙ্গে সীমান্তবর্তী ৪৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে।
বিমানবাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোয় প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এ ছাড়া দেশের উপকূলীয় ছয় জেলার ১১টি আসনে তিন হাজারের বেশি নৌবাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের