আই নিউজ প্রতিবেদক
বেইলি রোডে আগুন : ৩ জন আটক
একটি দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে আগুন এর ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ওই বহুতল ভবনের চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেইলি রোডে আগুন এর ঘটনায় তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক মো. জিসান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা ও রমনার উপকমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
বেইলি রোডে আগুন এর ব্যাপারে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবেন। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এই ঘটনায় যার যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেইলি রোডে আগুন- এর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের লাশ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকী ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে বেইলি রোডে আগুন এর ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ফিলিপিনের নাগরিক এক মা-মেয়েও মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ও ফিলিপাইনের নাগরিক ছিলেন। হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪০) ও মেয়ে প্রিয়াংকা রায় (১৭)।
নিহত রুবি ফিলিপাইনের নাগরিক। প্রায় ২৮ বছর আগে বাংলাদেশি নাগরিক উত্তম কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
নিহত প্রিয়াংকার বড় চাচা বিষ্ণু রায় বলেন, উত্তম ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে উত্তম পোল্যান্ড যান। এ সময় তিনি স্ত্রী-কন্যাকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন। মা-মেয়ে রাজধানীর মালিবাগে থাকতেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে উত্তম রায় পোল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের