Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ০২ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ১৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১১ জুলাই ২০২৩

সিলেটে ঘণ্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং, বাড়ছে ভোগান্তি

দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল মহানগর’ সিলেট। কিন্তু এই মহানগরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। গত তিন দিন ধরে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় হচ্ছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ আসলে ২০-২৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হচ্ছে না। গভীর রাতেও থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে ভোগান্তিতে আছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সিলেটে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই সিলেটে এমন লোডশেডিং। তবে আগামী সপ্তাহে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।

সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজারে ছাপাখানা রয়েছে শিববাড়ি এলাকার বাসিন্দা অনিক কর দীপের। গত তিন দিন ধরে তার ব্যবসায়ীক কাজে ঘটছে মারাত্মক ব্যাঘাত। কাস্টমারদের সময়মতো কাজ ডেলিভারি দিতে না পারায় পড়েছেন ক্ষতির মুখে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলবে।’ দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানান তিনি।

মহানগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী সুমাইয়া বেগম বলেন, ‘তীব্র লোডশেডিংয়ে সাংসারিক কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার চরম ক্ষতি হচ্ছে। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না।’

দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকার বাসিন্দা ৬০ বছর বয়েসি সিফাত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে তীব্র গরমে রাত-দিন হাঁসফাঁস অবস্থা। রাতে যে দু’ঘণ্টা শান্তিতে ঘুমাবো এ অবস্থাও নেই।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সিলেট বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী মো. আরাফাত আল-মাজিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘সিলেটে তীব্র গরম না হলে পুরো বিভাগে গড়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। আর গরম হলে চাহিদা থাকে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াটের। কিন্তু চাহিদার ৬০ ভাগ সরবরাহ হয় সিলেটে। ৪০ ভাগ ঘাটতি থাকে। ফলে সিলেটে এভাবে লোডশেডিং হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিবিয়ানাসহ ৩টি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় সিলেটের সরবরাহে ঘাটতি থাকছে। তবে আগামী সপ্তাহে এসব কেন্দ্র ফের চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চালু হলে সিলেটে লোডশেডিং কমে যাবে।’

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ