নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
রাখাল নৃত্যে শুরু, গোপী নৃত্য দিয়ে শেষ হলো ১৮২তম রাস উৎসব

১৮২তম রাস উৎসবে রাখাল নৃত্যে অংশ নেওয়া একদল শিশু। ছবি- আই নিউজ
শুক্রবার সকাল থেকেই কমলগঞ্জের মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চে বইছিল উৎসবের হাওয়া। মঞ্চে ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখি রাধার লীলাকে ঘিরে শুরু হয় মহারাস লীলা উৎসব। দিনশেষে রাতভর গোপী নৃত্যের মধ্য দিয়ে শনিবার ভোরে শেষ হলো উৎসব। কার্তিকের পূর্ণিমা তিথি রাসনৃত্য দেখে কাটিয়ে ঘরে ফিরছেন হাজারো দর্শনার্থী।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় রাখাল নৃত্য। এই রাখাল নৃত্য দিয়ে শুরু হয় রাসলীলার মূল অনুষ্ঠান। দিনভর চলে নানা আঙ্গিকের গান আর নৃত্য। নিজস্ব সাংস্কৃতিক ভাবধারায় নির্মিত পোশাক আশাকে সজ্জিত মনিপুরী শিল্পীদের অংশগ্রহণে পুরো দিন ছিল রঙিন আর প্রাণ চঞ্চল।
রাত সাড়ে ১১টায় জোড়া মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় রাসের মূল আকর্ষণ মহারাসলীলার গোপীনৃত্য। এই গোপীনৃত্য চলে ভোর পর্যন্ত। গোপীনৃত্যে গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের মধুরলীলার কথা, গানে ও সুরে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। রাসোৎসবে মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে সমাগত হন নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপ প্রাঙ্গণ।
মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, রাস উৎসব শুধু মণিপুরিদের জন্য নয়। রাস দেখতে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। এই উৎসবকে ঘিরে মণিপুরি প্রতিটা পরিবারে এক মাস থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
আই নিউজ/এইচএ
- দুলাভাইয়ের ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা
- মৌলভীবাজারের রাজনগরে
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিধবা রুবির বিউটি পার্লার - `প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে আমাদের ধোকা দেওয়া হচ্ছে`
- রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জে রাস উৎসব শুরু
- কমলগঞ্জে মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার