Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৮ ১৪৩২

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ২৪ জানুয়ারি ২০২১
আপডেট: ২১:২৪, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

মৌলভীবাজার পৌরসভায় সর্বোচ্চ শিক্ষিত প্রার্থী সাংবাদিক পার্থ সারথী পাল

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল

মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে অধিকাংশই স্বশিক্ষিত। এর মাঝে ব্যতিক্রম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ও সাংবাদিক পার্থ সারথী পাল। এই  নির্বাচনে সকল ওয়ার্ডের প্রার্থীর মধ্যে তিনিই একমাত্র  প্রার্থী যিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি এল.এল.এম সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে এল.এল.বি ও এল.এল.এম সম্পন্ন করে মৌলভীবাজার জজ কোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে দৈনিক ডেস্টিনিসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে  তিনি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির নির্বাহী সদস্য। সাংবাদিক পার্থ সারথী পাল একজন শিক্ষানুরাগীও। পাশাপাশি তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্থ সারথী পালকে শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারও প্রদান করেন। 

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল আইনিউজকে বলেন, আমি বছরের পর বছর ধরে পারিবারিকভাবে সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।  আমার বাবা প্রদ্যুম্ন পাল এবং দাদা অনাথ রঞ্জন পালও কমিশনার ছিলেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগে থেকেই আমার পরিবার এলাকার শিক্ষা ও উন্নয়নে জড়িত। সেই হিসেবে আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমি এই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। 

তিনি বলেন, একজন সাংবাদিক ও আইনজীবী হিসেবে নির্বাচনে আসায় আমাকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যেমন অনেকেই বলেন আইনজীবী হয়ে কেন আমি এই পেশায় আসতে চাই! আমি তাদের বুঝিয়েছি যে সমাজের সকল স্থরের মানুষের সাথেই আমি মিশে চলতে চাই। আমার কাছে যেকোনো মানুষ আসলে তাদের কথা মন দিয়ে শুনে অন্তরে ধারণ করতে চাই। একজন মানুষ যখন তার সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসে তখন প্রথমেই আমি তাকে বিষয়টি পজেটিভ ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করি এতে করে তার মনোবল বেড়ে যায় এবং পরবর্তীতে সমস্যার মুখোমুখি হতে সুবিধা হয়।

পার্থ সারথি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমি লিফলেট ও মাস্ক বিলি করেছি। যার ঘরে খাবার নেই আমার সাধ্যমত তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। আমার ভবিষ্যতে পরিকল্পনা হলো- নির্বাচিত হলে ১নং ওয়ার্ডে একটি কাউন্সিলর কেন্দ্র স্থাপন করা। অনেকেই পৌরসভায় যেতে ভয় পান বা যান না, এই কাউন্সিলর কেন্দ্রে আমার ওয়ার্ডের সকল বাসিন্দারা তাদের অভিযোগ নিয়ে আসতে পারবেন রাত ৮টা পর্যন্ত। এই কাউন্সিলর কেন্দ্র থেকেই আমি সকলের কথা শুনে তার সমস্যার  সমাধান দিতে পারব বলে মনে করি।

তিনি আরো যোগ করেন,  ওয়ার্ডে আমি পঞ্চায়েত কমিটিও তৈরি করব যাতে মানুষ প্রথমেই পৌরসভায় না গিয়ে এলাকায় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমাধান পায়।  মানুষকে চাল ডাল দিয়ে সাহায্য অনেকেই করতে পারে কিন্তু তার মানবিক উন্নয়নের মাধ্যমে তাকে সাবলম্বী এবং সমাজের উন্নয়ন  করার চেষ্টা করব আমি। আমার ইচ্ছা হলো এলাকার বেকার নারী ও যুবসমাজ নিয়ে কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি মানবিক উন্নয়ন হলেই সামাজিক উন্নয়ন হবে।

আরও পড়ুন: ৮ম শ্রেণির গন্ডি পেরুতে পারেননি ১৫ কাউন্সিলর প্রার্থী

আদনান কবির উল্লাস নামে এক ভোটার বলেন, করোনার সময়ে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার যারা লজ্জায় চাইতে পারেন না তাদের ঘরে ঘরে সাধ্যমত খাবার পাঠাতে দেখেছি দাদাকে। নিজের প্রচারের স্বার্থে কাউকে বলতে দেখিনি তাকে।  

ওয়ার্ডের অনেক এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি জায়গায় হাত ধোঁয়ার বেসিন স্থাপন করেছেন তিনি। যাতে অন্যরা হাত ধুয়ে এলাকায় ঢুকতে পারে।

সৈয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা রুপজিত বলেন, করোনার সময়ে গরীব বাচ্চাদের মাঝে খেলার সরঞ্জাম ও শিক্ষা উপকরণ দিতে দেখেছি । বয়স্কদের কোরান শরীফ ও গীতা এবং অনেককে গল্পের বইও দিয়েছেন দাদা।

সৈয়ারপুর লক্ষীবালা স্কুল রোডের বাসিন্দা শুভ রায় বলেন, নদীর পারে মাদকের আড্ডা ছিল। পার্থদা নিজে থেকে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিয়েছেন।

টিটু দেব নামে এক ভোটার বলেন, আমার পরিবারের একজন বিধবা ভাতা পেতে টাকা দিতে হত। দাদা এসে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাতা নিতে কোন টাকা লাগে না। এইসব আমরা জানতাম না, দাদার প্রচারের কারণেই জেনেছি। 

গীর্জাপাড়ার নবীন ভোটার অনিক চক্রবর্তী বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই পার্থ দাদাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেখেছি। কিন্তু কৌশলগত কারণে তিনি জিততে পারেননি। এইবার আশা করি তিনিই জিতবেন।  

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন সরগরম মাঠ। প্রার্থীরা দিন-রাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এবার অপেক্ষা ভোট প্রয়োগের। দেখা যাক, কে হয় পৌরসভার পরবর্তী জনপ্রতিনিধিগণ?

আইনিউজ/এবি/এসডিপি  

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়