সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট: ২২:৩৭, ১৪ মার্চ ২০২২
সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতারা!
আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে দলকে তৃণমূলে চাঙা করতে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ডাকা প্রতিনিধি সভা ও বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করে জেলার এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব অবহেলা থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আস্তা ও বিশ্বাসের অভাবকে এবং আওয়ামী লীগের এমপিদের নিজের দলকে ভারী করাকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাসন রাজা মিলনায়তনে প্রতিনিধি সভায় সুনামগঞ্জে ১১টি উপজেলা থেকে আসা তৃণমূলের বক্তব্য শুনে এমনই ক্ষোভ ঝাড়লেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেন, দীর্ঘদিন সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগে কোন বর্ধিত সভা, সভাপ্রতিনিধি সম্মেলন হয়নি। আপনারা সবাই সব জানেন সব বুঝেন কিভাবে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ চলছে। আপনারা জানেন কোন ইউনিয়নের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে করলে এটা জেলা কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন করতে হয় কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় বসে এসব অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা যতগুলো সম্মেলন করেছি সুন্দরভাবে গঠনতন্ত্রভাবে কাজ করেছি। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি, আজকে দুঃখ হয় ৬ বছর ধরে কমিটি হয়েছে কয়টা মিটিং হয়েছে আপানারা যারা জেলা কমিটি যারা আছেন তারা জানেন। তারা ঢাকায় বসে মিটিং আহ্বান করেন। এটি লজ্জার। বাংলাদেশের মানুষ ভয়াভহ দিন আসছে তাই এই দুর্বল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে আপনারা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নেয়া যাবে না।
দোয়ারাবাজার আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক তার বক্তব্যে বলেন, সাধারণ মানুষের হয়ে আমি কাজ করেছি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম এই দেশকে স্বাধীন করতে নেতা শেখ মুজিবের ডাকে যুদ্ধে গিয়ে দেশকে স্বাধীন করে আওয়ামী লীগকে আপন করে নিয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে আমারের মূল্যায়ন না করে টাকা দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করা হয়েছে। আমরা এগুেেলা থেকে রেহাই চাই।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর বলেন, তাহিরপুর উপজেলায় হেভিওয়েট প্রার্থীগুলো মনোনয়ন বত হয়েছে। আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হোসেন, নিজাম উদ্দিনের মতো মানুষ মনোনয়ন পায়নি। আমরা যাদের তালিকা পাঠালাম কেনও মনোনয়ন দেয়া হয়নি তা বোধগম্য নয়। পকেটস্থ ব্যক্তি না হলে নেতৃত্ব দেয়া হয় না এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুরু হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে যতোগুলো অর্জন সম্ভব হয়েছে সব আওয়ামী লীগের আমলেই। আওয়ামী লীগের শক্তি কিন্তু তৃণমূল। এই তৃণমুল ছিল বলেই আজকে আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় বসে তৃণমূলের উন্নয়ন করছে। তৃণমূলের শক্তির উপর ভর করেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হচ্ছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের প্রাণ ভুমরা। তিনি জেলা নেতকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের অনেক কথা শুনেছি আপনাদের মনে অনেক ক্ষোভ রয়েছে আক্ষেপ রয়েছে সেটি আপনাদের বক্তব্যের মধ্যেই ফুটে উঠেছে। তবে আমি আপনাদের বলবো আপনারা একটু অপেক্ষা করেন আমরা দলকে ঢেলে সাজাবো। আজকে ২০২২ সাল আগামী বছর বা তার পরের বছর জাতীয় নির্বাচন সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য আমাদের একত্র হতে হবে। আমাদের তৃণমূলকে শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরুক্ষশ জয় নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সুনামগঞ্জের তৃণমূলের রিপোর্ট পেয়েছি চিত্র দেখেছি, তবে আমি আপনাদের বলবো আপনাদের একে অপরের উপর শ্রদ্ধাশীল না এবং শ্রদ্ধা ধরে রাখতে পারেন না, আপনাদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। আমি আপনাদের আজকে আশ^স্থ করতে চাই আপনাদের সুনামগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন জুন মাসের মধ্যেই হবে।
পরবর্তী বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অনেকদিন ধরে সুনামগঞ্জে সভা হয়না, আপনারা প্রতি উপজেলা থেকে একজন করে বক্তৃতা দিয়েছেন এবং সময় ছিল নির্ধারিত। এ সভায় অংশগ্রহণ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা কিন্তু আমরা দুঃখ পেয়েছি এতো বড় একটা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের টেবিলে কলম নিয়ে বসা নাই কে কি বক্তব্য তা লেখার প্রয়োজন নাই। আমি দুঃখ পেয়েছি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অবশ্যই আছেন এবং এ পর্যন্ত যতো মিটিং হয়েছে অর্থাৎ কার্যবিবরণী আমাদের টেেিবল দেয়া হবে। এটি কিন্তু করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের সাধারণ সম্পাদককে সকল উপজেলা জেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের ফোন নাম্বার দেয়ার জন্য, উপজেলা সরকারের হবে না তাহলে কেন জেলা আওয়ামী লীগ। আমরা সিদ্ধান্ত সামনের সব উপজেলা কমিটিতে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির লোকেরা থাকবো দেখি কত ধানে কত চাল। আপনারা কারও বেতনভুক্ত কর্মচারী তাহলে ভাইয়ের পিছনে দৌড়ান কেন একেক জন একেটা গ্রুপ করেন কেন, সংসদ সদস্যরা এখানে বসে রয়েছেন সকলের আমল নামা তৈরি হচ্ছে. প্রতি মাসে প্রধানমন্ত্রী কাছে আমল নামা যাচ্ছে কাজেই আমল নামা দেখে নমিনেশন পাবেন। জেলায় রাজনীতি করবেন এটার কমিটির হবে ঢাকায় বসে এটা হতে পারে না এটি হতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ এগুলো প্রশ্রয় দিবে না।
আইনিউজ/মোসাইত রাহাত/এসডিপি
আইনিউজ ভিডিও
মানসিক চাপ কমাবেন যেভাবে
বয়স পঞ্চাশের আগেই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা
খালি পেটে ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক