আই নিউজ প্রতিবেদক
আপডেট: ১৯:০৮, ১০ জানুয়ারি ২০২৪
আবারও অর্থমন্ত্রী পাচ্ছে সিলেট?
১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে নয়া মন্ত্রিসভার শপথ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ এরিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নয়া মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদীয় নেতা এবং মতিয়া চৌধুরীকে উপনেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। এখন আলোচনায় আছে, নতুন মন্ত্রিসভা পরিষদ নিয়ে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী হতে পারেন সিলেটের কোনো নেতা। ফলে প্রশ্ন ওঠছে আবারও অর্থমন্ত্রী পাচ্ছে সিলেট?
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে নয়া মন্ত্রিসভার শপথ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এসময় দেশের বিশিষ্টজনসহ এক হাজার অতিথি উপস্থিত থাকেবন। মূলত, এরপরেই জানা যাব, কাদের নিয়ে গঠিত হলো নতুন মন্ত্রিসভা পরিষদ। এবারের মন্ত্রিসভায় সিলেটের অনেক মুখই থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর শোনা যাচ্ছে এবছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিবিদদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এবছর মন্ত্রিসভায় বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে অপসারণ করা হতে পারে। এই দায়িত্ব পেতে পারেন আরও অভিজ্ঞ কেউ। যাদের তালিকায় সিলেটের দুই জনের সম্ভাবনা জোড়ালো দেখছেন তাঁরা। এরমধ্যে রয়েছেন সুনামগঞ্জের রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স এর সভাপতি এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ) এর প্রাক্তন সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জমান। তিনিও সিলেটের সন্তান। ড. খলিকুজ্জমানের জন্মভূমি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায়।
আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে আ হ ম মুস্তফা কামালকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে দেশের অর্থনীতির কিছুটা অধোগতি হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের বাজারে নৈরাজ্য, রিজার্ভ কমে যাওয়াসহ নানা বিতর্কের কারণে এই মেয়াদে আ হ ম মুস্তফা কামাল যে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব হারাচ্ছেন তা আগে থেকেই অনেকে অনুমান করছেন। এর স্থলে নতুন যাদের দেখা যেতে পারে তাদের তালিকায় আছেন সিলেটের এই দুই জন। এরমধ্যে এম এ মান্নান প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং গত মেয়াদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি ২০০৫ সালে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুজনিত কারণে ২০০৫ সালের সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জয়ী হয়ে কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর শোনা যাচ্ছে এবছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
একই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেতে পারেন এমন আলোচনায় থাকা সিলেটের অন্যজন হলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রাজনগরের সন্তান ড. খলিকুজ্জমান। যিনি বাংলাদেশ সরকার সমাজসেবা ও জনসেবায় অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার এবং দারিদ্য বিমোচনে অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তাঁকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ একুশে পদকে ভূষিত করে।
ড. খলিকুজ্জমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি অর্থনীতি বিষয়ে ১৯৬১ সালে ব্যাচেলর ডিগ্রি ও ১৯৬২ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি জাতীয় মেধা ফেলোশিপ লাভ করে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স ও পলিটিক্যাল সাইন্স (এলএসই) -তে পড়তে যান এবং সেখান থেকে অর্থনীতি বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
২৩ বছর যাবত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এবং এর পূর্বতন পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট ইকোনোমিক্সে (পিআইডিই) গবেষণা পেশায় এবং কয়েক বছর গবেষণা পরিচালক হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালকের পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ (বিইউপি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে বিইউপি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তিনি ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)এর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। অর্থনীতি বিষয়ে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন সফল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিতে নানা ভাবে অবদান রেখে চলেছেন। জানা গেছে, এবার তাঁকেও দেখা যেতে পারে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
তবে, ড. খলিকুজ্জমান এবং এম এ মান্নানের মধ্যে যে কেউ পেলেও অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আবার ঐতিহ্যগতভাবে সিলেটে আসবে। এটা দেখার জন্যই এখন অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। কেননা, এর আগেও দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক বার যারা অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং সফলতার দৃষ্টান্ত রেখেছেন তাঁদের বেশিরভাগই সিলেটের। সিলেটের কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ সাইফুর রহমান, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এ এম এ মুহিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তাঁরা দীর্ঘদিন এ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে সিলেটবাসীর এবারের প্রত্যাশা হয়তো এবার আবারও অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন সিলেটের কেউ।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’