Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২

সাগর শুভ্র, শাবিপ্রবি

প্রকাশিত: ১৬:১১, ১৬ মে ২০২৫
আপডেট: ১৬:১৪, ১৬ মে ২০২৫

শাবিতে যোগ্যতা ছাড়াই শিক্ষক হওয়া তাজবিউলকে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের স্পষ্ট অবস্থান

শাবিপ্রবি গেইট। ফাইল ফটো।

শাবিপ্রবি গেইট। ফাইল ফটো।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জ্বালানি ও খনিজ প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগে অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন বিভাগের সকল শিক্ষক। গতকাল ১৫মে বিভাগীয় মিটিং শেষে শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অযোগ্য কোন শিক্ষক নিয়ে পথ চলা কোনোভাবেই সম্ভব না।

এর আগে, গত ৭মে জরুরি বিভাগীয় সভায় শিক্ষকরা সিন্ডিকেটের ২৩৫তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। যেখানে রেজিস্ট্রার বারাবর প্রেরিত এক চিঠিতে শিক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের ব্যাপারে বিভাগের শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের ক্ষোভ পূর্বেও ছিল এবং ইদানীংও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন দ্রুত সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করেন সেজন্য অনুরোধ জানান। অন্যথায় বিভাগে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। 

অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতির ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে তাজবিউলকে। যার ফলে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারো তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

এ বিষয়ে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের অনুপস্থিতিরি বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে  যোগদানের জন্য বলেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়েছে। যেখানে অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরো বলেন,  আমরা এই বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করছে। যার দরুন বিভাগের শিক্ষক সংকট কাটছে না। বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই নিয়োগ নিয়ে যে অসন্তুষ সেখান থেকে আমরা বিভাগকে মুক্ত করতে পারছি না। 

তিনি বলেন, আমরা গতকাল বিভাগের সকল শিক্ষক উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদের স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছি। আমরা বলেছি, তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয় রাখবে কি রাখবে না সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। তবে, বিভাগ থেকে অযোগ্য কোন শিক্ষক নিয়ে চলা কোনোভাবেই সম্ভব না। 

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরিকে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, এর আগে অযোগ্য প্রার্থীকে ভাইবায় অংশগ্রহণের সুযোগ, পরবর্তীতে তাকে নিয়োগ প্রদান এই অভিযোগ এনে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সিন্ডিকেটে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে, সিন্ডিকেটের ২মাস পার হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করা হয়নি। 

সাগর/আইনিউজ
 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়