Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মৌলভীবাজারে ঝোড়ো বৃষ্টি: গ্রামে ফসল ন-ষ্টে-র শ-ঙ্কা, শহরে স্বস্তি

মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজারে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত হয়। ছবি- আই নিউজ

মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজারে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত হয়। ছবি- আই নিউজ

দেশে চলমান তীব্র তাবপ্রবাহের মধ্যেও সিলেট বিভাগের নানা জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলায় আজ মঙ্গলবার সারাদিন তীব্র গরমের পর বিকেলের দিকে ঝোড়ো বৃষ্টি হয়েছে। এসময় প্রচণ্ড বেগে বাতাসের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ অবস্থায় পাকা ধান নিয়ে শ ঙ্কা য় পড়েছেন গ্রাম এলাকার কৃষকরা। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল চারটার পরে আকাশ কালো করে প্রথমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়। পরে প্রচণ্ড বেগে বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে তা স্থায়ী হয় প্রায় চল্লিশ মিনিটের মতো। এসময় তুমুল বৃষ্টিপাত ও বাতাসের কারণে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন হয়ে গেছে। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা ছিল উচ্চ মাত্রায়। সকাল থেকেই তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছিল। দুপুরের দিকে তীব্র রোদ ছিল। এর আগের দিন শনিবারও এরকম বিক্ষিপ্তভাবে বিকেলের দিকে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে এরকম ঝোড়ো বৃষ্টিতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গ্রামের কৃষকরা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের শহরতলীর গ্রামগুলোতে এখনো ধান পুরোদমে না পাকায় কর্তন শুরু হয়নি। কৃষকরা আরও দুই তিনদিন পর ধান কাটার কাজ শুরু করবেন। কিন্তু, এরমধ্যে এভাবে ঝোড়ো বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি পাকা ধান ন ষ্টে র দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

জমির পাকা ধান ঝোড়ো বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গিয়ে ন-ষ্ট হয়ে যাওয়ার আ-শ-ঙ্কা কৃষকদের। ছবি- আই নিউজ 


বরমান এলাকার মাঝারি আকারের ধান চাষী জাকির হোসেন বলেন, কিছু জমিতে ধান পেকে গেছে। কিন্তু, বেশিরভাগ জমিতে এখনো পাকেনি। দুই চারদিন গেলে আমরা ধান কাটা শুরু করবো। তবে, শিলাবৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ফসল নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। এরিমধ্যে বেশকিছু ফসল ঝরে পড়েছে। 

তবে, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে এরকম বৃষ্টিতে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। যান্ত্রিক জীবনে তীব্র গরমে হাঁসফাঁশ অবস্থায় এই বৃষ্টি এনে দিয়েছে সতেজতা। অনেকেই বৃষ্টির ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করে নিজেদের প্রশান্তির কথা জানাচ্ছেন। 

মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা পুলক বলেন, চলমান গরমে পরিবারসহ হাঁপিয়ে উঠেছি। এবছরের গরম অসহনীয়। এই অসহনীয় অবস্থায় বৃষ্টি হওয়ায় একটু ভালো লাগছে। 

এদিকে, বিগত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সারাদেশে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত এমনকি ব ন্যা র আ শ ঙ্কা র কথাও জানানো হয়েছে। হাওরে পুরোদমে চলছে ধান কাটার কাজ। তারপরও বৃষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা। অন্যদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণেও জনজীবন বিপর্যস্ত। দেশে হিট এলার্ট জারি আছে। 

আই নিউজ/এইচএ 

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়