Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ২ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ০৭:২৩, ২ জুলাই ২০১৯

জামিন আবেদন নাকচ, ডিআইজি মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

আইনিউজ ডেস্ক: বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস এই নির্দেশ দেন। আজ বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির করা হয় মিজানকে। তাঁর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। দুদকের মামলায় মিজানুরের আগাম জামিনের আবেদন গতকাল সোমবার সরাসরি খারিজ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করতে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনারকে নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে আজ মিজানুরকে নিম্ন আদালতে হাজির করা হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় গত রোববার হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মিজান। ওই সম্পদের তদন্তকালে দুদক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। ওই মামলার অপর আসামি মিজানুরের ভাগনে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানও আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন। আবেদন দুটি গতকাল শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মিজানুরের ক্ষেত্রে ওই আদেশ দেন। আর মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। গত ২৫ জুন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়