Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ৮ জানুয়ারি ২০২০
আপডেট: ১৬:০০, ৮ জানুয়ারি ২০২০

সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার: রাষ্ট্রপতি

শাবি প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের ওপরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলবার।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সভাপতি হিসেবে লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও অগ্রযাত্রায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অবদান খুবই প্রশংসনীয়। এ দেশের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, পরিশ্রমী, উদ্যমী, লড়াকু ও সংবেদনশীল জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির  লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে।

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রই এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নতুন এই বিশ্বব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যেকোনো অসামর্থ্যই দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নিরন্তর গবেষণা। নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারের ওপরই নির্ভর করে দেশের সমৃদ্ধি।

সমাবর্তনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য দেন কৃতী শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ২০ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।

তৃতীয় সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতারা শিক্ষার্থীদের ভেতর ঐক্য এবং শৃঙ্খলা থাকার কথাটি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। এই ঐক্য ধর্ম, বর্ণ বা বিত্তশ্রেণি নির্বিশেষে সামাজিক হলেও, এটি কখনও চিন্তার ঐক্য নয়। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবতে পারে না, বরং চিন্তা যত বেশি বিচিত্র ও বিবিধ হয়, যত বহুপথে, বহুমতে পরিব্যাপ্ত হয়, তত এর শক্তি বাড়ে।

(আরও পড়ুনঃ মাদ্রিদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত)

(আরও পড়ুনঃ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের মতবিনিময় )

(আরও পড়ুনঃ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ২০ দিনে অন্তত দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ)

তিনি আরো বলেন, চিন্তার সক্রিয়তা না থাকলে, ছকের বাইরে বেরিয়ে চিন্তা না করতে পারলে চিন্তা সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, বিদ্রোহী, একক-বিশিষ্ট এবং ভবিষমুখী না হলে নতুনদের আবির্ভাব ঘটে না, সমাজে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে, এবং জাতির পরনির্ভরশীলতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও উন্নতমানের গবেষণা এবং একটি গবেষণা বান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি সর্বত্র। এখানের স্নাতকগণ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও বিশেষ অবদান রাখছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানবিতরণের জায়গা নয়, জ্ঞান সৃষ্টিরও প্রধান ক্ষেত্র; সেদিকটি বিবেচনা করে আমাদের প্রাণপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-শিক্ষকগণ গবেষণাতেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশ-বিদেশজুড়ে।

তিনি আরো বলেন, একটি সুবিন্যস্ত অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক ও পরিকল্পিত অটোমেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ দেশে সর্বোচ্চ মাত্রার ই-কন্টেন্ট ব্যবহারকারী ক্যাম্পাস; যে কারণে ইউনেস্কো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটকে নিয়ে বাংলাদেশে ই-লাইব্রেরি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যাচ্ছে।

আইনিউজ/রবিন/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়