Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩২

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৭ মে ২০১৯
আপডেট: ১৩:৩০, ৭ মে ২০১৯

খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী’র প্রয়াণ

নিউজ ডেস্ক: সব কথা আর সুর ইথারে রেখে, না ফেরার দেশে উড়াল দিলেন সুরের পাখি সুবীর নন্দী। মঙ্গলবার (০৭ মে) ভোর সাড়ে চারটায় সিংগাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য এই শিল্পী । মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।
গত ১২ এপ্রিল সুবীর নন্দী পরিবারের সবাইকে নিয়ে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়লে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। ওই দিনই রাত ১১টার দিকে তাঁকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবীর নন্দীকে সিংগাপুরে পাঠানো হয়। সিংগাপুরের জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।   আজ মঙ্গলবার (০৭ মে) ভোর সাড়ে চারটায় মারা যান তিনি। খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পী দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে। সুবীর নন্দী প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে এই গুণি শিল্পীকে। সুবীর নন্দীর জন্ম  ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায়। তার নানা বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাদেআলিশা গ্রামে। তাঁর পিতা সুধাংশু নন্দী পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। আর মা পুতুল রানী ভালো গান গাইতেন। বরেণ্য এই সুরসাধকের প্রয়াণে সংস্কৃতি অঙ্গণে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়