Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৮ ১৪৩২

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২৯ এপ্রিল ২০২০

হিজুলিয়া ইছামতি নদীর ওপর সেতু নেই, দুর্ভোগ

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া ইছামতি নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি অবশেষে ধ্বসে পড়েছে। ফলে ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের সব ধরনের যোগাযোগ এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ৩০ বছর অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি মেরামত না করায় ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতো ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

এতোদিন এলাকার লোকজন সেতুটির উভয় পাশে চলাচলের জন্য বাঁশ বেঁধে দেয়। ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ভ্যান, রিকশা, অটোবাইকসহ স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করলেও স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়েনি।

জানা গেছে, ১৯৯০-৯২ অর্থ বছরে উপজেলা এলজিইডি হিজুলিয়া ইছামতি নদীর ওপরে সেতুটি নির্মাণ করে। পরে কয়েক দফা বন্যার প্রবল স্রোতের কারনে সেতুটির দুপাশের রেলিং এবং পিলার থেকে মাটি সরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে।  

উথলী, টেপরা, আরিচা, রামকান্তপুর, নেকিরকান্দি, রসুলপুর, রাহাতহাটি, মল্লিকপুর, নয়াচর, কুশালবাড়ি, বাশাইল, বাড়াদিয়া, আগুনপুর, করজনা, বর্ধমকান্দিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতো। বর্তমানে এলাকার লোকজনকে সেতুটির পাশে নির্মিত বাঁশের সাকোতে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। তবে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

ফলে ব্যবসায়ীসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে ফুলহারা-হিজুলিয়া-নেকিরকান্দি সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সেটিও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া বৃষ্টির সময় চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যানবাহন চলাচল করাতো দুরের কথা লোকজন পায়ে হেটে চলাচল করতে পারেনা। 

ফুলহারা-হিজুলিয়া সড়কের পাকা রাস্তাগুলোর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ এবং বড় বড় গর্ত হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এত দুর্ভোগের পরেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ব্রাইট গ্রুপের পরিচালক ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ঘিওরের হিজুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম দরজী উজ্জল জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও এলাকার লোকজন যাতায়াত করতো। সোমবার এটি ধসে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা দরকার।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সাজ্জাকুর রহমান জানান, সেতুটি পরিদর্শন করেছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে একটি প্রকল্প তৈরী করা হয়েছে। দ্রুত টেন্ডার আহবান করা হবে।  

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়