Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৬ মে ২০২০

ঈদে কোলাহল শূন্য বিনোদন কেন্দ্র

গত ১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ঈদ করেন নগরীর রহমান নগর এলাকার বাসিন্দা মাহবুব আলম। তার বাড়ি কুমিল্লা হলেও ঈদে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতেন চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে পরিবার নিয়ে অনেকটা গৃহবন্দী তিনি।
 
শুধু মাহবুব আলম নয়; তার মতো লাখ মানুষের পদাচরণ হতো এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। সেইসব বিনোদন কেন্দ্র তাই এখন কোলাহল শূন্য। 

মাহবুব আলম বলেন, ঈদে বাড়িতে যেতে না পারলেও, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছেলেদের সাথে নিয়ে অনেক মজা করতাম। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে তাও বন্ধ। ফলে পরিবার নিয়ে বাসায় আছি।

ঈদের মতো এমন উৎসবের দিনে চট্টগ্রামের সকলেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। অথচ এবার এসবস্থানে যাওয়াই বারণ।

চট্টগ্রামে একমাত্র চিড়িয়াখানায় ঈদ ও ঈদের দ্বিতীয় দিনে থাকতো উপছে পড়া ভীড়। ওই সময় গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার দর্শনার্থীদের সমাগম হতো বাঘ, সিংহ জেব্রাসহ বিভিন্ন ধরণের প্রাণী দেখার জন্য। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শূন্যতার প্রহর গুণছে এ চিড়িয়াখানা। 

অন্যদিকে প্রতিবছর চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঈদের সময় লাখো দর্শনার্থীর সমাগম হলেও, এবছর সেখানে নেই কোনো মানুষের হাঁকডাক। পাশাপাশি চট্টগ্রামের ফয়'স লেক, সী ওয়ার্ল্ড, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স ও এখন জনমানবশূন্য। এছাড়াও, কর্ণফুলী নদীর তীর, পারকি বিচ, কাট্টলী সৈকত, সিআরবি, ওয়ার সিমেট্রিতেও ভিড় লেগে থাকত ঈদের ছুটিতে। এবার সব জায়গাই ফাঁকা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাৎ হোসেন শুভ বলেন, চিড়িয়াখানার প্রধান রাজস্ব আয় হতো দর্শার্থীদের টিকিটের টাকায়। আর ঈদে দর্শনার্থীদের সমাগমও হতো বেশি। ঈদের এক সপ্তায় ৭০-৭৫ হাজার মানুষের সমাগম হতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে দর্শনার্থী শূন্য চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। 

চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হয় ফয়'স লেক ও সী ওয়ার্ল্ডে। যেখানে প্রতি দর্শনার্থীকে টিকেটের জন্য গুণতে হতো ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। 

দর্শনার্থী না থাকায় চট্টগ্রামের ফয়'স লেকে কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইডগুলো থেমে আছে। ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছর থাকতো বিশেষ অফার ও মেগা কনসার্ট। কিন্তু এবার নেই তেমন কোনো আয়োজনও। 

ফয়'স লেক এমিউজমেন্ট পার্ক পরিচালনাকারী সংস্থা কনকর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ষোষ বলেন, সী ওয়ার্ল্ড চালুর পর এই প্রথম পার্ক বন্ধ থাকছে। প্রতি ঈদে দেশি-বিদেশি বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগমে মুখরিত থাকে ফয়'স লেক। এবার সেখানে কেবল পাখির কলকাকলি। 

বিশ্বজিৎ ঘোষ আরো জানান, এমনিতে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২শ' দর্শনার্থী আসতেন ফয়'স লেক ও সী ওয়ার্ল্ডে। আর ঈদের ছুটির মধ্যে দৈনিক সাড়ে চার থেকে ছয় হাজার দর্শনার্থী সামলাতে হতো আমাাদের। এছাড়া রিসোর্টগুলোও অতিথির চাপে পরিপূর্ণ থাকতো।

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়