Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১ জুন ২০২০
আপডেট: ০৮:৪৬, ১ জুন ২০২০

করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেন ৮৪ বছরের মনসুর

বার্ধক্যজনিত নানা রোগ বাসা বেঁধেছে ভঙ্গুর শরীরে।এর মধ্যেই পেয়ে বসে মরণঘাতী করোনা।তবে সেই করোনার ভয়কে জয় করলেন ৮৪ বছর বয়সী মো. মনসুর রহমান।

মনসুর রহমানের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের নওনগর গ্রামে।তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।তিনি জানান,প্রথমে খুবই ভয় পেয়েছিলেন।তাঁর মনে হয়েছে,এবার আর হয়তো বাঁচবেন না।

করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাঁকে একা থাকতে হয়েছে। এই বয়সে একা থাকাটা তাঁর জন্য একটু কষ্টই ছিল। তবে তাঁর পাশে পরিবারের লোকজন ও চিকিৎসকেরা সব সময় ছিলেন।এ জন্য ভয়টা কেটে যায়।মানুষ মানুষের পাশে থাকলে এ রোগেও কোনো ভয় নেই।

মনসুর রহমানের এক ছেলে ও চার মেয়ে।ছেলের সঙ্গে তিনি গ্রামে থাকেন।নমুনা পরীক্ষায় গত ২৬ এপ্রিল তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।তারপর বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়েছেন।কয়েক দফা পরীক্ষা শেষে রোববার তাঁকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন জেলা সিভিল সার্জন।

তাঁর ছেলে আল-আমিন সরকার জালাল বলেন,বাবা এই বয়সে করোনা জয় করলেন।এটা এখন তাঁদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাছে রেখে সেবা দিলে খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যান।

মনসুরের পুত্রবধূ শামীমা পারভীন বলেন,তাঁর শ্বশুরের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাঁরা একটু বিপদেই পড়ে যান।আশপাশের লোকজন তাঁকে বাড়িতে রাখতে দিতে চাননি।তাঁরা হুমকি দিয়ে বলেন, করোনা রোগীকে এখানে রাখা যাবে না।রাখলে বাইরে থেকে তাঁরা তালা দিয়ে দেবেন।এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চিকিৎসকেরা আশপাশের লোকজনকে বুঝিয়ে শান্ত করেন।এমনকি চিকিৎসকেরা বাজার পর্যন্তও করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,তাঁর চার বছরের ছেলে আছে।সে দাদুভক্ত। ছেলেকে নিয়ে খুব বিপদে ছিলেন তাঁরা।এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।এ জন্য তিনিও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।

মনসুর রহমানের পরামর্শ,‘আমি যদি রোগ-শোক নিয়ে এই বয়সে করোনা থেকে মুক্ত হতে পারি,তাহলে সবাই পারবে।’তিনি তাঁর সুস্থতার জন্য পাশে থাকা মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক,ইউএনওসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

সূত্র:প্রথম আলো

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়