Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ১৯ জুলাই ২০২০

মানিকগঞ্জে বন্যা দূর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশে মার্চ মাস থেকে চলছে করোনার প্রকোপ। করোনা মহামারীর মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। ফলে সেই সকল জায়গার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

মানিকগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। হঠাৎ করেই পদ্মা-যমুনা ফুঁসে ওঠায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জেলার ৪টি উপজেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে পদ্মার পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা ভাসছে বানের জলে।

সবচেয়ে কষ্টে আছে চরাঞ্চলের মানুষ। বাড়িঘরে পানি থাকায় পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের একটি ইউনিয়নের নাম বাঁচামারা। সেখানে কারো ঘরের চাল সমান পানি। কারো ঘরে গলা সমান। রাস্তা-ঘাট সব তলিয়ে গেছে। ডুবেছে হাট-বাজারও। বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে।

মানিকগঞ্জের বন্যাকবলিত হরিরামপুর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার চরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকার চিত্রই এমন। ঘরের ভেতর উঁচু মাচা করে অনেকেই আছেন চরম কষ্টে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুর্গতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করলেও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি বেশির ভাগ এলাকায়।

দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, তার ইউনিয়নের ৯০ ভাগ বাড়ি ঘরেই এখন পানি। বন্যার শুরুতেই নদী ভাঙনেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক মানুষ। করোনার এই সময় বন্যা ও নদীভাঙনে বিপর্যস্ত তারা। ইউনিয়ন পরিষদের পাশে উঁচু জায়গায় অনেকেই স্থান নিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় ১৩০ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৭০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়