Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ২০ জুলাই ২০২০

এসে গেছে রাজাবাবু, দাম ১০ লাখ!

বগুড়ায় এসে গেছে রাজাবাবু। নামেই যেন অভিজাতের চিত্র ফুটে উঠে। বিশাল দেহাকৃতির ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির নাম ‘রাজাবাবু’। প্রায় ২৭ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। রাজাবাবুর পুরো শরীর কুচকুচে কালো, পায়ের নিচের দিকটা কিছুটা সাদা, শিং দু’টিতে রয়েছে সাদা-কালোর মিশ্রণ।

শান্তশিষ্ট স্বভাবের রাজাবাবু, সময় মতো তিনবেলা খাবার খায়। আলাদা জমি থেকে আসে খাবার। রাজাবাবু একদম গরম সইতে পারে না। রাজাবাবুর মাথার ওপর ২৪ ঘণ্টাই ফ্যান চালানো থাকে। আর দিনে দুইবার গোসল করানো হয় রাজাবাবুকে। 

রাজাবাবুকে লালন পালন করেছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার উঞ্চুরকি পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক শহীদুল ইসলাম। কৃষিকাজের পাশাপাষি শখের বসেই তিনি নিজের সন্তানের মত করে লালন পালন করেছে রাজাবাবু নামের কোরবানির ষাঁড়টিকে। 

অনেক সময় শুধু রাজা কবলেও ডাকা হয় ষাঁড়টিকে। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বাড়িতেই সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাম করেছেন এক ক্রেতা। কিন্তু মালিক শহীদুল ইসলাম ষাঁড়টি এ দামে ছাড়তে নারাজ।

তার দাবি, এ দামে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, উল্টো লোকসান গুনতে হবে। কোরবানির ঈদ আসতে এখনো কিছুদিন বাকি রয়েছে। তাই ষাঁড়টিকে দেখে-শুনে বিক্রি করতে চান তিনি।

শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় একজন কৃষক। জমিতে ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি তিনি এ ষাঁড়টিকে জন্মের পর থেকে বাড়িতেই নিজের সন্তানের মতো করে লালন-পালন করে আসছেন। পরিবারের সদস্যেদের মতো করে বড় করেছেন রাজাবাবুকে। সময় মতো তিনবেলা খাবার সঠিক সময়ে খাওয়াচ্ছেন। আলাদা করে ২১ শতক জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন রাজাবাবুকে খাওয়ানোর জন্য। এই জমি থেকেই রাজাবাবুর জন্য ভালমানের ঘাস কেটে খাওয়ানো হয়। সব খাবার তাকে দেয়া হয় না। ভাল মানের খাবার দেয়া হয়। সবমিলিয়ে গরুটির পেছনে তার এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তাই ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। একবারেই টাকা দিতে হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম করেছেন।

তবে রাজাবাবুকে নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শহীদুল ইসলাম। কেননা করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বড় গরু কেনার মতো সচরাচর ক্রেতা ও পাইকার মিলছে না। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই না থাকায় বিশাল আকারের গরুটি নিয়ে স্থানীয় হাটেও যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এখন করোনা পরিস্থিতিতে রাজাবাবুর মতো বড় ধরনের গরু নিয়ে কোনো খামারি যদি সমস্যায় পড়েন তাহলে তারা আমাদের জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে আসতে পারেন বা যোগাযোগ করলে আমাদের লোক তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। এক্ষেত্রে ওই গরুর ছবি, ভিডিও ক্লিপ, গরুর বয়স, ওজন ও খামারির ঠিকানা দিয়ে আমরা অনলাইন মার্কেটে আপলোড দেবো। এতে খুব সহজেই তার গরুটি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

আইনিউজ/টিএ

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়