Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৬ ১৪৩২

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ১৩ আগস্ট ২০২০

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে নানা আয়োজন

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর স্মরণে মানিকগঞ্জে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকালে দুর্ঘটনাস্থল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকায় নির্মিত  স্তৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও বৃক্ষ রোপণ করেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে মানববন্ধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব, বারসিক, বানিয়াজুরি গণকেন্দ্র পাঠাগার, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া রেললাইন বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। দীপক ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিপ্লব চক্রবর্তী, স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী, বারসিকের সমন্বয়কারী বিমল রায়, ঘিওর প্রেস ক্লাবে সাধারণ সম্পাাদক রামপ্রসাদ সরকার দিপু. সাংবাদিক জাহাঙ্গির আলম বিশ্বাস, পারভেজ বাবুল, নজুরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ঢাকা-আরিচা সড়ক প্রসস্থ করা হলেও এখনও দুর্ঘটনার হার কমেনি। রাজধানী ঢাকার সাথে মানিকগঞ্জসহ পশ্চিম বঙ্গের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঢাকা-আরিচা সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অদূর ভবিষ্যতে এর গুরুত্ব আরো বাড়বে, যা সড়ক পথে মেটানো সম্ভব নয়। একমাত্র রেলপথ নির্মাণ করলে এই সমস্যা দূর হবে। বক্তারা পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং রেলপথের দাবি জানান। 

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট 'কাগজের ফুল' নামের একটি চলচ্চিত্র শুটিং স্পট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে জোকায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের একটি বাসের সাথে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন। এঘটনায় ২০১১ সালে পুলিশ বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মামলা করে। বেপরোয়াগতিতে বাস চালিয়ে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক রায়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ চুয়াডাঙ্গার ডিলাক্স পরিবহনের বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা দেন। কারাবন্দি এই বাসচালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি ১ আগস্ট মারা যান।

এদিকে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের পরিবার মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাস মালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছিল। পরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে বদলি হয়। এই মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্ট শুনানি শেষে তারেক মাসুদের পরিবারের করা ক্ষতিপূরণ মামলায় ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রায় দেন। রায়ে তারেক মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়