Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০১ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৬ ১৪৩২

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১৯ আগস্ট ২০২০

নোবিপ্রবি ল্যাবে করোনার জীবন রহস্য উন্মোচন নিয়ে গবেষণা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক ল্যাবে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উম্মোচন গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

নোবিপ্রবি এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে একশটি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য উম্মোচন কার্যক্রম এখন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০টি পজিটিভ নমুনার আরএনএ এক্সট্রাকশন করে সিডিএনএ তৈরি করা হয়।

এরপর তা নোবিপ্রবি থেক পাঠানো হয় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। আর এতেই সাফল্যের দেখা পান গবেষকরা। ইতিমধ্যে আটটি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য সম্পন্ন হয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সম্মিলিত গবেষণা কার্যক্রম করোনার টিকা তৈরিতে সহায়ক হবে বলে জানান গবেষকরা। এছাড়াও এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগ তথা বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রাদু হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  

এ কার্যক্রমে সার্বিকভাবে যুক্ত আছেন নোবিপ্রবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. দিদার-উল-আলম, নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফোকাল পয়েন্ট প্রফেসর ডা. ফিরোজ আহমেদ, সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. নেওয়াজ মোহম্মদ বাহাদুর এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেল্থ এ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ডা. হাসান মাহমুদ রেজা। 

নোবিপ্রবি ল্যাবে চট্টগ্রাম বিভাগ তৎসংলগ্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসের উৎস, জীনগত পরিবর্তন, জীবন রহস্য উম্মোচন এবং পরবর্তিতে এই ভাইরাসের টীকা উৎপাদন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

দেশে মার্চে করোনা মহামারী শুরু হয়। পরে ১১ মে, ২০২০ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের অনুমোদনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক অনুদানে নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আরটি পি সি আর মেশিনে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালু করা হয়।

ল্যাবে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার দশটি উপজেলার কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ইতোমধ্যে ল্যাবে ১৬,৮৭৬ নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩,৮১৫ টি নমুনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোবিপ্রবি কোভিড ল্যাবের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য  প্রেরিত নমুনা পরপর দুইবার আইইডিসিআর কর্তৃক শতভাগ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে । 

আইনিউজ/এসডিপি/ এনএস

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়