Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০১ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৬ ১৪৩২

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২১ আগস্ট ২০২০

কেউ খবর রাখে না ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত বিপ্লবের

‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার পর একে একে পেরিয়ে গেছে ১৬ বছর, দীর্ঘ এ সময়ে দল পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকলেও কেউ খোঁজখবর নেয় না। কেউ অন্তত ফোন কল দিয়েও জিজ্ঞেস করে না ভাই কেমন আছেন আপনি।’

এভাবেই আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বললেন ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষী আলতাফ হোসেন বিপ্লব।

সেদিনের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে আলতাফ হোসেন বিপ্লব জানান, ‘তখন আমি ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলাম। ঘটনার দিন আপা যে ট্রাকটিতে ভাষণ দিচ্ছিলেন আমি তার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে ট্রাকের ডালা ধরে ছিলাম। বক্তব্যের একদম শেষে বিষ্ফোরণ হয়। বিষ্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি রাস্তার এক পাশে পড়ে আছি। রক্তে আমার দুই পা ভিজে ছিল দেখে আশপাশের লোকজন আমার জিন্স প্যান্টের উপর পর্যন্ত কেটে দিল’।

‘পরে প্রয়াত আ. জলিল ভাইয়ের (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ) গাড়িতে করে আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হলো। সেখানে লোকজন বলাবলি করতে লাগল বিএনপির লোকজন এখানে আক্রমণ করতে পারে। পরে সেখান থেকে পাশেই একটা বেসরকারি হাসপাতালে গেলাম। সেখানেও আক্রমণের ভয় ছিল। পরে সেখান থেকে সিকদার মেডিকেলে দীর্ঘ ১৬-১৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরও কিছুই পরিবর্তন হচ্ছিল না। আমার দুই পায়ে অনেকগুলো স্পিস্নন্টার ছিল। পরবর্তীকালে ভারতের কলকাতা নিয়ে আমার অপারেশন করা হলো। সেখান থেকে দেশে ফিরে নিয়মিত থেরাপি নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে নিয়মিত থেরাপি নেওয়া হয়নি’।

বিপ্লব আরও বলেন, বহুল আলোচিত এই মামলার রায় হয়েছে। এখন আসামিদের সাজাটা দ্রুত হোক এটাই চাওয়া। আল্লাহ চেয়েছে বলে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন বেঁচে ফিরেছেন। আমরাও বেঁচে ফিরেছি, কিন্তু আক্ষেপ কেউ এখন আমাদের খোঁজখবর নেয় না। অন্তত প্রতিবছর ২১ আগস্ট এলে কেউ যদি পিঠে হাত দিয়ে বলত, ‘ভাই কী অবস্থা’ তা হলেও ভালো লাগত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপার কাছে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) গেলে অবশ্যই আমরা মূল্যায়ন পাব। কিন্তু আপার কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে শরীরের চামড়া খসে যাবে। যাদের হাত ধরে আপার কাছে যাব, তারাই চায় না ত্যাগীরা আপার কাছে যাক বা মূল্যায়ন পাক।

সেদিনের গ্রেনেডের স্প্রিন্টার আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি, দেশে বিদেশে চিকিৎসায় নিজের পকেটের অনেক টাকা খরচ করেছি। দুই পায়ে অপারেশন থাকায় আজও হাঁটতে-চলতে কষ্ট হয়। আমি সেদিন নাও বাঁচতে পারতাম। কিন্তু আফসোস আমাদের মূল্যায়ন হয় না। আমরা টাকা-পয়সা চাই না। দল আমাদের খোঁজখবর রাখুক এতটুকুই আমাদের চাওয়া।

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়