Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০১ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৬ ১৪৩২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

তিন গরু পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সেই ছয়ফুল

পাঁচজনের সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী ছয়ফুল ইসলাম। স্ত্রী ও তিন সন্তানের পেট চালানোর জন্য প্রায় ২০ বছর ধরে তেলের ঘানি টেনেছেন তিনি। গরু কেনার টাকা ছিল না তার। এ কাজে সহযোগিতা করতেন ছয়ফুলের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম। দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছিল পরিবারটি।

সম্প্রতি দেশের কয়েকটি জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় গরুর বদলে ছয়ফুলের তেলের ঘানি টানার ছবিসহ তার অসহায়ত্বের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে।

তাই ছয়ফুল-মোর্শেদা দম্পতির পাশে মমতাময়ী মায়ের মতো পাশে এসে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছয়ফুল ও মোর্শেদা দম্পতিকে একটি গরু এবং ১০ হাজার টাকা দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে লালমনিরহাটের ডিসি মো. আবু জাফর বৃহস্পতিবার পরিবারটির কাছে গরু এবং ১০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন।

একই দিনে ওই দম্পতিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে একটি গরু দেন লালমনিরহাটের এসপি আবিদা সুলতানা। এছাড়া ছয়ফুলের ঘর তৈরি ও সন্তানদের পড়ালেখার জন্য এক লাখ টাকা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা বেগম। একইসঙ্গে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকে তাদের দেয়া হয় আরো একটি গরু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘানি টানার জন্য একটি গরু এবং আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা ছয়ফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তেলের ঘানি টানতে টানতে যখন শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন থেকে আর নিজেদের ঘানি টানতে হবে না।

ঘানি টানতে কি তিনটি গরু লাগে- জবাবে ছয়ফুল বলেন, যে টাকা পেয়েছি তা দিয়ে চাষাবাদের জন্য কিছু জমি বন্ধক নেব। তেলের ব্যবসার পাশাপাশি সেই জমিতে চাষাবাদ করে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবো। আর যারা গরু দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আলোচনার পর দুইটি গরু বিক্রি করে আরো একটি গরু কিনব। কিছু টাকা থাকলে তা দিয়ে বাড়ি মেরামত ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাবো।

তিনি বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে নিজেই তেলের ঘানি টানতাম। সারাদিন ঘানি টেনে ৫-৭ লিটার তেল তৈরি করা যায়। প্রতিদিন সেই তেল ও খৈল বিক্রি করে আয় আসতো ২৫০-৩০০ টাকা। এই দিয়ে পাঁচজনের সংসার চালানো হতো।

ছয়ফুলের স্ত্রী মোর্শেদা বলেন, ঘানি টানার জন্য গরু ও সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমাদের ২০ বছরের কষ্ট লাঘব হলো। সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।

একই দিনে ওই দম্পতিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে একটি গরু দেন লালমনিরহাটের এসপি আবিদা সুলতানা। এছাড়া ছয়ফুলের ঘর তৈরি ও সন্তানদের পড়ালেখার জন্য এক লাখ টাকা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা বেগম। একইসঙ্গে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকে তাদের দেয়া হয় আরো একটি গরু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘানি টানার জন্য একটি গরু এবং আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা ছয়ফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তেলের ঘানি টানতে টানতে যখন শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন থেকে আর নিজেদের ঘানি টানতে হবে না।

ঘানি টানতে কি তিনটি গরু লাগে- জবাবে ছয়ফুল বলেন, যে টাকা পেয়েছি তা দিয়ে চাষাবাদের জন্য কিছু জমি বন্ধক নেব। তেলের ব্যবসার পাশাপাশি সেই জমিতে চাষাবাদ করে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবো। আর যারা গরু দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আলোচনার পর দুইটি গরু বিক্রি করে আরো একটি গরু কিনব। কিছু টাকা থাকলে তা দিয়ে বাড়ি মেরামত ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাবো।

তিনি বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে নিজেই তেলের ঘানি টানতাম। সারাদিন ঘানি টেনে ৫-৭ লিটার তেল তৈরি করা যায়। প্রতিদিন সেই তেল ও খৈল বিক্রি করে আয় আসতো ২৫০-৩০০ টাকা। এই দিয়ে পাঁচজনের সংসার চালানো হতো।

ছয়ফুলের স্ত্রী মোর্শেদা বলেন, ঘানি টানার জন্য গরু ও সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমাদের ২০ বছরের কষ্ট লাঘব হলো। সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়