Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০১ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৫ ১৪৩২

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৯:৩১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

‘টাকা কামাতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন নাটক’

শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছিলো। এরমধ্যে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচন বর্জন করে ভোট গ্রহণ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব৷ 

তবে হুট করে নির্বাচন বর্জনের এই ঘটনাকে ভিন্ন চোখে দেখছেন স্থানীয় জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতারা।

যদিও নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব এবং জাতীয় পার্টি প্রার্থী রেজাউল করিম ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বোরহানউদ্দিন বলেন- বিএনপির প্রার্থী অর্থ খরচ করবে না। বরং নির্বাচন উপলক্ষে তিনি যা কামাই করেছেন এটাই তার লাভ। আর দল থেকে তিনি মনোনয়ন কিনেছেন ব্যবসা করার জন্য। আর এই নির্বাচনে ফেল করবেন জেনেই তিনি কোন এজেন্ট দেননি। নির্বাচন নিয়ে তার কোন আগ্রহ ও ছিলোনা।
 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন- হাবিবুর রহমান হাবিব মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। এমনকি যারা নিজ আগ্রহে কাজ করেছেন তাদেরকেও কোন নির্বাচনী খরচ দেননি।

এদিকে পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর তোলা অনিয়মের অভিযোগের যৌক্তিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। আজ শনিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

 

এস এম কামাল বলেন, বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য আসেননি। তিনি এসেছেন নির্বাচন বাণিজ্য করার জন্য। ভোটের মাঠে তার কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বিএনপি যেসব অভিযোগ তুলেছে, সুনির্দিষ্ট করে তারা একটি ঘটনাও দেখাতে পারবে না। বিএনপি’র কোনো কর্মী বা সমর্থক আওয়ামী লীগের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হলে তাদের কথার যৌক্তিতা থাকতো। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

তিনি বলেন- সরেজমিনে ঘুরে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কোনো এজেন্ট চোখে পড়েনি। কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করার কোন তথ্যও জানা গেলনা। প্রায় সব কেন্দ্রে ঘুরে দেখছি, কোথাও ধানের শীষের এজেন্ট নাই।

কেন্দ্রগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্ট না দেয়ার কারণ হিসেবে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র বৈশিষ্ট্য মিথ্যাচার করা। সম্প্রতি সাহাপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই হামলায় বিএনপি জড়িত। যে কারণে তারা এজেন্ট দিতে পারেনি। বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসার পথ খুঁজছিলেন। ভোট বাতিল বা বর্জনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে এবং ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন তথ্য মতে, পাবনা-৪ ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া আসনে দুই উপজেলা, দু’টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪টি, মোট ভোটার তিন লাখ ৮১ হাজার এক শ’ ১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৮৯ হাজার ৪১৫ জন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা গেলে এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ২৫ বছর আসনটি রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে। অন্যদিকে, দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে আসনটি বারবারই অধরা থেকে গেছে বিএনপির।

বিএনপির দল প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব টানা দু’বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

আইনিউজ/এইচকে

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়