Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৫ ১৪৩২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৯, ২১ অক্টোবর ২০২০

ভাই রাহানুর একাই কুপিয়ে হত্যা করে চারজনকে

শাহিনুর রহমান, মেয়ে তাসনিম, ছেলে সিয়াম ও স্ত্রী সাবিনা

শাহিনুর রহমান, মেয়ে তাসনিম, ছেলে সিয়াম ও স্ত্রী সাবিনা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গ্রেপ্তার রাহানুর তার মাছ ব্যবসায়ী ভাই শাহিনুর ভাই ও ভাবি সাবিনা, ভাতিজা মাহী, ভাতিজি তাসনিমকে একাই হত্যা করেছে। তার স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি ও তোয়ালে উদ্ধার করেছে সিআইডি।

বুধবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে  পুলিশের বিশেষ শাখা অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত উপমহাপরিচালক শেখ ওমর ফারুক বলেন, শাহিনুরের ভাই রাহানুর বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর রবিবার আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তিনি জানান, রাহানুর রিমান্ডে স্বীকারোক্তি দেয় এই হত্যাকাণ্ড সে একাই সংঘটিত করে। তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর সে ভাইয়ের কাছেই থাকত ও খেত। সেসময় তার বড় ভাবি সাবিনা তাকে খাওয়ার কারণে কথা শোনাতো এবং বেকারত্বের জন্য ভর্ৎসনা করত। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং হত্যার পরিকল্পনা নিতে থাকে।

ঘটনার দিন ভাই শাহিনুর এসে টিভি দেখার কারণে বিদ্যুৎ বিলের কথা বলে তাকে বকা দেয়। সে সময় রাহানুর বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমলপানীয় খেতে দেয় ভাইকে। একই জিনিস খেতে দেয় ভাবি ও ভাইপো-ভাইজিকে। এরপর সে তার ঘরে ফিরে যায় এবং কয়েক ঘণ্টা পর কার্নিশ বেয়ে ছাদের চিলেকোঠা দিয়ে ঘরে ঢোকে।

ঘরে ঢুকে প্রথমে ভাইকে এক কোপে খুন করে। তারপর তার পা বাঁধে যাতে ভাবিকে হত্যার সময় না উঠে যেতে পারে। এরপর ভাবিকে কোপ মারলেও প্রথমে উঠে যায়। তারপরপরই ভাবিকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সিয়াম ও তাসনিম চোখ খুললে তাদেরও হত্যা করে।

শুধু ৫ মাসের শিশু ভাতিজা মারিয়াকে সে অক্ষত রাখে।

সিআইডির কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রাহানুরকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থল কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বর এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বাড়ির পাশের বড় পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি ও তোয়ালে উদ্ধার করেছে সিআইডি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির সাতক্ষীরার বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান। 

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়